ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
দলের জেলা সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, বুথভিত্তিক সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে সবাইকে পড়াশোনা করতে বলা হয়েছে। সেইমতো তাঁদের প্রদেয় উত্তর মিলিয়ে দেখা হবে। বর্তমানে জেলায় সবাই পড়াশোনা শুরু করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সিউড়ির রবীন্দ্রসদনে জেলা পর্যায়ের বিজয়া সম্মিলনীতে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল নির্দেশ দেন, আগামী ১৫নভেম্বর থেকে ১৮ডিসেম্বর পর্যন্ত বিধানসভাভিত্তিক বুথ সম্মেলন করা হবে। সেই সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট বুথ, অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিদের একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। উত্তর দিতে না পারলে সম্মেলনেই তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে দল।
নির্দেশমতো প্রত্যেক জেলার ১১টি ও পূর্ব বর্ধমানে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রেই সম্মেলনের জায়গা ঠিক করতে ব্লক নেতৃত্ব প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তবে, সম্মেলনের জায়গা ঠিক করার আগে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব আগামী কয়েকদিন প্রত্যেক বুথের পরিস্থিতি নিয়ে ‘পড়াশোনা’ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওই সম্মেলনে বুথ সভাপতিদের নানা প্রশ্ন করা হবে।
সম্মেলনগুলিতে অনুব্রত মণ্ডল পৃথক পৃথক বুথের তথ্য জানতে দায়িত্বে থাকা নেতাদের প্রশ্ন ধরবেন। প্রশ্নের জবাব কী দেওয়া হল তা কাগজে নোট করবেন জেলার নেতারা। এহেন সম্মেলনে নিজেদের উত্তর দিয়ে জেলা সভাপতিকে প্রসন্ন করতে ব্লক নেতৃত্বের কার্যত হিমশিম অবস্থা। সেইজন্য জেলায় প্রায় প্রত্যেক ব্লকেই জেলা সভাপতির আগে নিজেদের মধ্যে সম্মেলন করতে চলেছেন ব্লক নেতৃত্ব।
কী কী প্রশ্ন করতে পারেন জেলা সভাপতি? তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথগুলিতে কত ভোটার রয়েছেন। তাতে কতজন পুরুষ, কতজন মহিলা ভোটার। এছাড়া গত লোকসভা ভোটে দলের প্রাপ্ত ভোট কত ছিল। বিজেপি, সিপিএমের ভোটের শতাংশ কত ছিল। আগামীদিনের নির্বাচনে ওই বুথে ভোট হলে তৃণমূল কত শতাংশ পেতে পারে তাও জিজ্ঞাসা করতে পারেন জেলা নেতৃত্ব। এছাড়া লোকসভা ভোটের তুলনায় বর্তমানে সেখানকার সংগঠনের হাল-হকিকত কী? বুথের সমস্যা কী? কেউ সাবোতাজ করছে কিনা সেসব প্রশ্নেরও জবাব দিতে হতে পারে। তাই সেসব তথ্য মুখস্থ করাতে ব্লক সভাপতিরা বুথ সম্মেলন করে কার্যত ‘ক্লাস’ শুরু করছেন।
দলের এক নেতা বলেন, জেলা সভাপতি কোন প্রশ্ন ধরবেন তা এখন থেকে বোঝা মুশকিল। তাই সব উত্তর যাতে দেওয়া যায় সেজন্যই কাউন্সেলিং করা হবে।
সাঁইথিয়ার ব্লক সভাপতি সাবের আলি খান বলেন, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশমতো প্রত্যেক বুথের সভাপতি সহ ন’জন কর্মীকে নিয়ে আগামী শনিবার থেকে আমরা বসছি। সেখানে সেই বুথের যাবতীয় তথ্য জানিয়ে দেওয়া হবে। রাজনগরের তৃণমূলের ব্লক চেয়ারম্যান সুকুমার সাধু বলেন, আমরা এখানে আগামী রবিবার থেকে সব বুথের সভাপতি সহ কর্মীদের নিয়ে সম্মেলন করব।