ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
মঙ্গলবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বাড়ি ফিরতে ফিরতে তাঁর রাত ২টো হয়ে গিয়েছিল। তবে, প্রচারের কারণে সকাল সকাল উঠে চা-বিস্কুট খেয়ে কয়েকজন কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুর মাঠপাড়ায় হাজির হয়ে যান। বাড়ি বাড়ি প্রচারে বের হতেই আশপাশের বাড়ির মহিলারা বাইরে বেরিয়ে আসেন। চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে অনেকেই নানা ধরনের আবদার করেন। ভবানীপুর মাঠপাড়া হনুমান মন্দিরের আগেই কয়েকজন মহিলা তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে ধরে তাঁদের এলাকায় যাওয়ার জন্য বায়না ধরলেন। মহিলারা জানালেন, তাঁদের রাস্তাটি বহুদিন ধরে হয়নি। পানীয় জলের অবস্থাও ভালো নয়। এই বিষয়টি দেখতে হবে। প্রার্থী হাসি মুখে সব শুনলেন।
হনুমান মন্দিরে, মতুয়া হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে গিয়ে প্রণাম করে কিছুটা যেতেই বাঁদিকে জগদ্ধাত্রী মন্দিরের সামনে হাজির হন। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন পাড়ার মহিলারা। চেয়ারম্যানকে কাছে পেয়ে তাঁরা নাগরিক পরিষেবা নিয়ে কথা বলেন। প্রদীপবাবু তাঁদের বলেন, আমি এখানে প্রতিশ্রুতি দিতে আসিনি। চেয়ারম্যান হিসেবে কী কী কাজ করেছি, তা আপনারা জানেন। তারপর তিনি নিজেই বলতে শুরু করেন, রাস্তায় সন্ধ্যার পর মহিলারা অন্ধকারে বের হতে পারতেন না। আমি আলোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বড় করে দশেরা উৎসব করেছি। রামনবমীও আপনারা নিজেই দেখেছেন। এতদিন যা কাজ করেছি, তার নিরিখে আপনারা আমাকে সমর্থন করুন।
একদা মহেন্দ্র সিং ধোনির ভালো বন্ধু ছিলেন প্রদীপবাবু। তাঁর দাবি, এখনও সেই বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে। ভাগ্যদেবী সঙ্গে থাকায় ধোনির ভাগ্য রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল। একসময় খেলার জগৎ নিয়ে পড়ে থাকা প্রদীপবাবুর উপরেও ভাগ্যদেবী সহায়। কারণ, রাজনীতিতে যোগ দিয়েই প্রথমবার কাউন্সিলার হয়েই তিনি চেয়ারম্যান হয়ে যান। বিধানসভা উপনির্বাচনে অনেককে পিছনে ফেলে তিনি প্রার্থীও হয়ে গেলেন। যদিও অল্প সময়ের মধ্যে রাজনীতিতে তাঁর এই উত্তোরণ দলের অনেকের কাছেই ঈর্ষার কারণ। এমনিতেই খড়্গপুর বিধানসভা এলাকায় কোনওদিন তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হননি। প্রদীপবাবুর কপালের জোরেই তিনি এবার বাজিমাত করবেন বলে তাঁর অনুগামীদের বিশ্বাস।
প্রচারের ফাঁকে প্রদীপবাবু বললেন, কাজের নিরিখে ভোট হলে মানুষ তৃণমূল প্রার্থীর বিকল্প কাউকে পাবেন না। আর বন্ধু ধোনির মতো আমারও ভাগ্য সহায় রয়েছে। এখন বাকিটা মানুষ ঠিক করবেন।
ভবানীপুর মাঠপাড়া থেকে প্রচার করে তিনি এদিন ধোবিঘাট এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে যান। সেখান থেকে শান্তিনগর, চুনাবস্তি এলাকায় একইভাবে প্রচার সারেন। পরে জৈননগর মাতামন্দিরে পুজো দেন। দুপুরে ডাল, ভাত, মাছ দিয়ে লাঞ্চ করেন। বিকেলে দলীয় অফিসে বসে ওয়ার্ড কাউন্সিলার, ওয়ার্ড সভাপতিদের ফ্লেক্স, ফেস্টুন দিয়ে দেন। সন্ধ্যায় দলীয় কর্মীদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।