ব্যবসা সূত্রে উপার্জন বৃদ্ধি। বিদ্যায় মানসিক চঞ্চলতা বাধার কারণ হতে পারে। গুরুজনদের শরীর-স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন ... বিশদ
স্নাতকস্তরে রিভিউ তুলে দেওয়া ইস্যুতে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মিম দ্রুতহারে ছড়িয়ে পড়ছে। ওই মিমে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছবি এঁকে তাতে বেশকিছু কার্টুন চরিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তারমধ্যে কাউকে উপাচার্য, কাউকে পরীক্ষা নিয়ামক, কয়েকজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিসার ও কর্মী এবং আর এক দলকে ছাত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। উপাচার্য নামের পাশে লেখা হয়েছে, ‘সিবিসিএস সিস্টেমে রিভিউ তুলে দাও’। আরেকটি কার্টুনে পরীক্ষা নিয়ামক লিখে তার পাশে লেখা হয়েছে, ‘হ্যাঁ স্যার, রিভিউ তুলে দিয়েছি। আর সমস্ত কলেজে নোটিসও পাঠিয়ে দিয়েছি’। অফিসারদের উল্লাসের কাল্পনিক ছবি এঁকে তাতে বলা হয়েছে, ‘কী মজা! আর কাজ করতে হবে না’। সবশেষে একদল ছাত্রছাত্রীর কার্টুন এঁকে তাদের পাশে লেখা হয়েছে, ‘হায় হায় সব শেষ। আমাদের কী হবে’?
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিভিউ তুলে দেওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার থেকে বিভিন্ন কলেজে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশপ্রাণ কলেজ, রামনগর কলেজ, হলদিয়া গভর্নমেন্ট কলেজ, খেজুরি কলেজ সহ বিভিন্ন জায়গায় জোরকদমে আন্দোলন শুরু হয়েছে। টিএমসিপি এবং ডিএসও উভয় ছাত্র সংগঠন এই ইস্যুতে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে। এই ইস্যুতে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ৫৪টি কলেজে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। টিএমসিপি সংগঠনও ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এই ইস্যু হাতছাড়া করতে রাজি নয়। সংগঠনের বিভিন্ন কলেজ ইউনিটের পক্ষ থেকে আজ, বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি কলেজে প্রতিবাদসভার ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
দেশপ্রাণ কলেজের টিএমসিপি-র ইউনিট প্রেসিডেন্ট আবেদন আলি খান বলেন, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থবিরোধী কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যেতে পারে না। তাছাড়া সিবিসিএস সিস্টেম চালু হওয়ার পরপরই যেভাবে ফার্স্ট সেমেস্টারে একাধিক বিষয়ে গণফেল করার ঘটনা ঘটেছিল, তা থেকে পরিষ্কার, নতুন সিস্টেম চালু করার ক্ষেত্রে গোড়ায় গলদ রয়ে গিয়েছে। পুজোর ছুটি পড়ার আগেই সেকেন্ড সেমেস্টারের ফল বেরিয়েছে। তাতেও দেখা যাচ্ছে, অনেকের এসআর(সেমেস্টার রিপিটেড) রেজাল্ট এসেছে। এখন রিভিউ করার সুযোগ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রয়েছে সেল্ফ ইন্সপেকশনের সুযোগ। তার জন্য ফি ৪০০টাকা। যদিও সেল্ফ ইন্সপেকশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর বৃদ্ধির সম্ভাবনা কার্যত নেই। এই অবস্থায় ছাত্রছাত্রীরা কোথায় যাবে? বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এর একটা হেস্তনেস্ত করতেই হবে।