পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তোলাবাজি, জোর করে জমি দখল এবং খুনের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ক্যাটারিং ব্যবসায়ী রানা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের ঘটনায় সে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ করতে আসে। যদিও তার আইনজীবীরা দাবি করেন, ক্যাটারিং ব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় সে কোনওভাবেই জড়িত নয়। খুন হওয়ার বেশ কিছুদিন পর তার নাম জড়ানো হয়। যদিও পুলিস জানিয়েছে, খুনের ঘটনায় ওই মাফিয়া যুক্ত। তার প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে।
পুলিস কমিশনার লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা বলেন, তাকে হেফাজতে পাওয়া গিয়েছে। এবার জেরা করা হবে। সরকারি আইনজীবী স্বরাজ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিচারক ওর বেল পিটিশন বাতিল করে পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আবার ১২ তারিখ তাকে আদালতে তোলা হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগেও কৃষ্ণেন্দুর কথায় বার্নপুরে বাঘে গোরুতে একঘাটে জল খেত। বার্নপুরের ইস্কো কারখানা কার্যত তার নিয়ন্ত্রণেই ছিল। কে সেখানে টেন্ডার পাবে, তা সে-ই ঠিক করে দিত। সবসময় তাকে ঘিরে রাখত অনুগামীরা। তারমধ্যে দু’জন ছিল তার ছায়াসঙ্গী। পুলিস তাদের দু’জনকেও গ্রেপ্তার করেছিল। এলাকায় তার এতটাই দাপট ছিল, কেউ তার বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস দেখাত না। কিন্তু একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সঙ্গে তার টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপরেই তার বিরুদ্ধে একের পর এক কেস হতে থাকে। প্রায় দু’বছর ধরে সে ফেরার ছিল।
এক পুলিস আধিকারিক বলেন, কৃষ্ণেন্দু অত্যন্ত ঠান্ডা মাথার ‘খিলাড়ি’ ছিল। কিন্তু, একটা ভুল তাস খেলার জন্য হিসেব উল্টো-পাল্টা হয়ে যায়। তবে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, কৃষ্ণেন্দুর দাপট কমলেও বার্নপুরে ইস্কোর কারখানায় অন্য আরএক লোহা মাফিয়ার আবির্ভাব হয়েছে। সে এখন বার্নপুরের ভাগ্য বিধাতা। ওই মাফিয়া কৃষ্ণেন্দুর ভূমিকা নিয়েছে। ঠিক ‘ট্র্যাকে’ হাঁটার জন্য এখনও কেউ তার বিরুদ্ধে যাওয়ার সাহস দেখায়নি। কিন্তু তার দাপটে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।