Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়! আর অন্যদিকে খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে এলেন ঘটনাস্থলে, খোঁজখবর নিলেন পরিস্থিতির এবং মোদি সরকারের রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে সে রাতেই বসে পড়লেন ধর্নায়। আবার সেই ধর্নার খবর চাউর হতেই গোটা রাজ্যে তৃণমূল নেতা-কর্মী সমর্থক মহলে তো বটেই, মমতাভক্ত সাধারণ মানুষের মধ্যেও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল, বহু মানুষ ঘুম ফেলে এসে যোগ দিলেন ধর্নায়, উত্তেজনার পারদ উঠল তুঙ্গে। এর মধ্যেই খবর এল, নিজাম প্যালেস সিজিও কমপ্লেক্সের মতো জায়গার সিবিআই দপ্তর থেকে রাজ্য পুলিস সরেছে, নেমেছে আধাসেনা—কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসারদের নিরাপত্তায় বহাল হয়েছে বাহিনী!
আরও শোনা গেল, ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিবিআই যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। গেল। এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্দেশ দিলেন, যাঁকে কেন্দ্র করে এতকিছু, কলকাতার সেই পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারকে সিবিআইয়ের ডাকে হাজিরা দিতে হবে, তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে, জিজ্ঞাসাবাদের জবাব দিতে হবে। কিন্তু, কোনও অবস্থাতেই সিবিআই অফিসারেরা রাজীব কুমারের ওপর কোনও শক্তিপ্রয়োগ করতে বা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবেন না! আর মহামান্য আদালতের এই নির্দেশকে ‘নৈতিক জয়’ হিসেবে চিহ্নিত করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ধর্মতলার ধর্না তুলে নিয়ে দিল্লিতে বৃহত্তর প্রতিবাদ আন্দোলনের ডাক দিলেন। সিবিআই ততক্ষণে ফিরে গেছে ডেরায়! এর পর কী হবে সেটা সময় বলবে। কিন্তু, আপাতত সিবিআইয়ের যুদ্ধ শেষ। আদালতের নির্দেশ মানতে ৮ ফেব্রুয়ারি পুলিস কমিশনার সিবিআইয়ের কাছে যেতে চেয়েছিলেন। সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, ডেট ঠিক করার রাজীব কে? সিবিআই ডেট বলবে। ব্যাস্‌, হয়ে গেল।
এর আগেও কি আমরা এ রাজ্যে সিবিআইয়ের এমন অতিতৎপরতা দেখিনি? দেখেছি। হইহই করে সব আসেন, কয়েকদিন হাঁকাহাঁকি ডাকাডাকি গরম গরম মন্তব্য হাঁকেন ক্ষেত্রবিশেষে একে তাকে ধরে নিয়ে ওড়িশায় যান তারপর সব একসময় কোথায় যেন হারিয়ে যায়! হ্যাঁ, ইতিমধ্যে অবশ্য সারদা-রোজভ্যালির মতো আর্থিক বিষয়ের মামলায় কয়েকজনকে জেলেও পুরেছে সিবিআই, আবার তাঁদের অনেকে পরে জামিনে ছাড়া পেয়ে ঘরেও ফিরেছেন। একথা ঠিক, সারদা-রোজভ্যালির মতো আর্থিক কাণ্ডে এ রাজ্যের ও ভিন রাজ্যের বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন, সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকে, একাধিক আত্মহননের ঘটনাও ঘটেছে। সেদিক থেকে প্রতারিত সর্বস্ব খোয়ানো মানুষজনের মতো শুভবুদ্ধিসম্পন্ন সকলেই চাইবেন এবং চানও যে ওইসব আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক। কিন্তু, দোষীদের ‘সাজা’ দেওয়ার সদিচ্ছা সত্যিই কি দিল্লির মহাকর্তাদের আছে? প্রশ্ন উঠেছে বহুদিনই। উঠেছে তার কারণ, কোনও সারদা-রোজভ্যালির মতো কোনও আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তই তো শেষ করতে পারেনি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা! একবার করে তাঁরা তেড়েফুঁড়ে ওঠেন, জিজ্ঞাসাবাদ ধরপাকড় চলে, সাময়িক একটা উত্তেজনা তৈরি হয়—তারপর হঠাৎ করেই যেন সব হাওয়ায় মিলিয়ে যায়! দিনের পর দিন, বছরের পর বছর সিবিআইয়ের এমন কীর্তিকাণ্ড দেখে লোকে যদি তাঁদের অভিযানকে ‘নাটক’ হিসেবে চিহ্নিত করেন, দোষ দেওয়া যাবে?
সত্যি বলতে কী, আজ যে সারদাকাণ্ড নিয়ে সিবিআই এত কাণ্ড করল তার একনম্বর অভিযুক্তকে কিন্তু পাকড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোয়েন্দা বাহিনী, সিবিআই নয়! এবং সেই অভিযুক্ত ও তাঁর এক সহকর্মী এখনও জেলজীবন কাটাচ্ছেন যে তার কারণ নিশ্চয়ই রাজ্যের গোয়েন্দা পুলিসের কর্মকুশলতা, মহামান্য আদালতে দাখিল করা তাঁদের অভিযোগপত্রের বলিষ্ঠতা। সিবিআই সেই কুশলতা দেখাতে পারল কই? তাঁরা যাঁদের ধরেছেন তাঁদের প্রায় সকলেই তো সাময়িকভাবে হলেও জামিন পেয়ে গেছেন! গেরো ফসকা না হলে এমনটা ঘটে? এই তো গত রবিবার শেষ বিকেল থেকে রাত অব্দি যা ঘটল তাতেও কি ওই ফসকা গেরোটাই প্রকট হয়ে উঠল না? পুলিস কমিশনারের বাড়িটা ঠিক কোন থানার সেটা পর্যন্ত সঠিকভাবে জেনে আসেননি তদন্তকারীরা? নাহলে শেক্সপিয়র সরণি থানার বদলে পার্ক স্ট্রিট থানায় কেন নথি নিয়ে যাওয়া! এভাবে কলকাতার মতো একটি মহানগরীর নগরপালের বাড়িতে ঢুকতে গেলে বাধা আসতে পারে সেটাও ভাবেননি তাঁরা! তৃতীয়ত, রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়ে বুঝিয়ে এলে ক্ষতিটা কী হতো, কমিশনার পালিয়ে যেতেন? কলকাতার পুলিস কমিশনার পদাধিকারী একজন দক্ষ বিচক্ষণ অফিসারের পক্ষে সেটা সম্ভব বলে মনে করেছিলেন তদন্তকারীরা? নিশ্চয়ই না। তাহলে এমন আকস্মিকতার প্রয়োজনটা ছিল কি? শেষমেশ তো কিছুই হল না। যথা পূর্বং তা-ই রইল। জিজ্ঞাসাবাদ। স্থানটা ওড়িশা বা দিল্লি থেকে সরে গেল শিলঙে—এই যা! তার জন্য এত হুডুমদুড়ুম! এত ধস্তাধস্তি! নাটক ছাড়া কী?
দুর্নীতিমুক্ত ভারত, স্বচ্ছ ভারত গড়ার লক্ষ্যে অবিচল বলে লাগাতার বিজ্ঞাপিত নরেন্দ্র মোদি সরকারের দুর্নীতিদমন প্রকল্পে সিবিআই নিঃসন্দেহে অন্যতম সেরা হাতিয়ার। একসময় সিবিআইয়ের নাম শুনলে অনেক ৫৬ ইঞ্চিরও বুকের পাঁজরে কাঁপন ধরে যেত, গলা জিব শুকিয়ে আড়ষ্ট হয়ে যেত কথা! আজ সে দিন হয়তো গিয়েছে। সাম্প্রতিক বিতর্ক ও সংস্থার শীর্ষমহলে অপ্রীতিকর সংঘাতে হয়তো আরও বিবর্ণ হয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের একদা অরণ্যদেব মার্কা ভাবমূর্তি। তবু, আমপাবলিকের কাছে অন্তত এখনও সিবিআই তো সিবিআই-ই না? একটা জবরদস্ত জমকালো সমীহ জাগানো ব্যাপার—তাই না। কিন্তু, সেই সংস্থাকে যখন রাজ্য পুলিসের কাছে হার মানতে দেখছি আমরা (পরে তাঁরা কী করবেন সে পরের কথা। রবিবার যা দেখলাম তার পরিপ্রেক্ষিতে বলছি), দেখছি তাঁদের অফিসারদের পুলিসগাড়িতে তুলে চালান করা হচ্ছে থানায়—তখন আমাদের মনে হবে না কি যে তাঁরা নিজেদের যোগ্যতা দক্ষতা সংস্থার মানমর্যাদা ভুলে কোনও বিশেষ উদ্দেশ্যে বা কোনও বিশেষ প্ররোচনাতেই এমন হঠকারিতা দেখিয়েছেন এবং সেই প্ররোচনা রাজনীতি বিচ্ছিন্ন নয়! মনে হতে পারে না কি যে সিবিআইকে যাঁরা দিল্লির শাসকের ‘তোতাপাখি’ বলে আজকাল কটাক্ষ করেন তাঁরা কেবল অসূয়াবশতই করেন না, করার পিছনে কিছু ব্যাপারও আছে, আছেই!?
কিন্তু, মুশকিলটা হল—ভুল জায়গায় ভুল অস্ত্র প্রয়োগ করলে ফল বিপরীত হয়। পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের শেষপর্যন্ত কী হবে, না হবে সময় বলবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সিবিআই নাটকে শেষ পর্যন্ত মমতাই কি লাভবান হলেন না? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, সিবিআইয়ের এই ‘নাটকে’ যদি কেউ লাভবান হন তবে তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিরোধীনেত্রী হিসেবে এই ঘটনা যেমন তাঁর প্রতিবাদী ভাবমূর্তির অনন্যতা ফের একবার সর্বজনসমক্ষে উজ্জ্বল করে তুলল, তেমনি বিরোধী শিবিরের মহারথীদের অকুণ্ঠ সমর্থন তাঁর দিল্লি যাত্রার পথটিও পূর্বাপেক্ষা সুগম করে তুলল। মোদি-বিরোধী অভিযানে এখন তিনিই প্রধান মুখ।
বিশেষজ্ঞদের এই অভিমত মানুন আর নাই মানুন একটা কথা পরিষ্কার, ইন্দিরা গান্ধীর স্মৃতি উসকে প্রিয়াঙ্কা ওয়াধেরাকে নামিয়ে রাহুল কংগ্রেস যে চমক দিয়েছিল, ভোট রাজনীতির আলো টানার যে চেষ্টা করেছিল রবিবার রাতের পর তাতে কিছু ভাটা পড়বেই। এবং পড়ার কারণ মমতা। মুখ্যমন্ত্রী মমতার রবিবাসরীয় মোদি-বিরোধী হুঙ্কার, রাজ্যের ওপর সিবিআইয়ের মতো সংস্থা দিয়ে চাপ সৃষ্টির মতো গুরুতর অভিযোগ এবং সেই অভিযোগ সম্বল করে দিল্লি কাঁপানোর ডাক উপেক্ষা করার সামর্থ্য যে বিরোধী শিবিরে বিশেষ কারও নেই সেটা তাঁর ধর্না মঞ্চে উপস্থিত হয়ে বা ফোনালাপে অনেকেই প্রমাণ করে দিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও কিন্তু তার ব্যতিক্রম নন। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যেদিকে গড়াচ্ছে তাতে প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা চলে, নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে লোকসভা মহাযুদ্ধের ময়দানে বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ, প্রধান সেনাপতি হিসেবে শেষ অব্দি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বীকৃতির যে সম্ভাবনা দানা বাঁধছিল রবিবারের ঘটনার পর সেটা একরকম অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠেছে। মোদি-বিরোধী শিবিরের নেতানেত্রীদের বক্তব্য প্রতিক্রিয়া এবং সমর্থনের তীব্রতায় তার আভাসও স্পষ্ট—অতএব সাধু সাবধান!
07th  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন।
বিশদ

03rd  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম।  
বিশদ

29th  January, 2019
একনজরে
বিএনএ, আসানসোল: মন্ত্রী তথা দলের জেলা পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাসের কড়া বার্তার পরেই আসানসোলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতারা একসঙ্গে পথ চলতে শুরু করেছেন। শুক্রবার একাধিক অনুষ্ঠানমঞ্চে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। দেরিতে হলেও জেলায় দলের শীর্ষ নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় হওয়ায় খুশি তৃণমূলের নিচুতলার ...

 প্রসেনজিৎ কোলে, কলকাতা: এবার নতুন ভাবে সাজতে চলেছে অটো। অটোর মূল রং এক রেখে তার উপরে এবার দিতে হবে হলুদ, সাদা, নীলের আঁচড়। পরিবহণ দপ্তর ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি চেয়ার প্রফেসর পদ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পদে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অধ্যাপকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অন্তত প্রথমবার বিজ্ঞাপনের পর আবেদনের সংখ্যা দেখে এমন ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পিএফ খেলাপিদের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থাৎ, কর্মীর বেতন থেকে পিএফ বাবদ টাকা কেটে নিলেও, তা পিএফ দপ্তরে জমা করছে না বহু সংস্থা। গোটা দেশেই এই অপরাধ বাড়ছে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এবার এই বিষয়ে প্রত্যেকটি আঞ্চলিক অফিসকে সতর্ক করল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম
১৯১৭: মার্কিন লেখক সিডনি শেলডনের জন্ম
১৯৮০: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৯০: দক্ষিণ আফ্রিকার জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  February, 2019

দিন পঞ্জিকা

 ২৮ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২২/৪৪ দিবা ৩/২১। অশ্বিনী ৩৭/২৩ রাত্রি ৯/১২। সূ উ ৬/১৫/১২, অ ৫/২৬/৪২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ১১/০/১১। অশ্বিনীনক্ষত্র অপঃ ৫/২৪/৩২, সূ উ ৬/১৬/৩৫, অ ৫/২৪/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫/৪২ মধ্যে ও ১০/৪৩/৫৭ থেকে ১২/৫৭/৩৮ এবং রাত্রি ৬/১৬/২৫ থেকে ৮/৫০/৪৪ মধ্যে ও ১১/২৫/৪ থেকে ২/৫০/৪৯ মধ্যে, বারবেলা ২/৩৭/৫৩ থেকে ৪/১/২৬ মধ্যে, কালবেলা ৭/৪০/৮ থেকে ৯/৩/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৪/২০ থেকে ১১/৫০/৪৭ মধ্যে। 
৫ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে শুভ। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: বাহন ক্রয়বিক্রয়ের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ...বিশদ

07:03:20 PM

পথ দুর্ঘটনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের কোটসুরে 

07:03:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে স্কুলে ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য 

05:32:00 PM

মেট্রো চ্যানেলে ধর্না, গ্রেপ্তার মান্নান সহ অনেকে
কলকাতার মেট্রো চ্যনেলে ধর্নায় বসতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বিরোধী দলনেতা ...বিশদ

05:21:00 PM

বেশ কিছু বাস বন্ধ হাওড়ায়, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
হাওড়া ময়দান থেকে ১০টি রুটের মোট ২৮০টি বাস চলাচল বন্ধ ...বিশদ

05:16:17 PM