পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
বাঁকুড়া শহরের কলেজ মোড়ের বারোয়ারি পুজোর থিমে আদিবাসী সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়। সিমলাপালের পার্শ্বলা গ্রামের সরস্বতীপুজো মণ্ডপে সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে থিম হিসেবে তুলে ধরা হয়। অন্যান্য বারের মতো এবারও বিষ্ণুপুর মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে বাগদেবীর আরাধনা হয়। বিষ্ণুপুর শহরে ছিন্নমস্তা মন্দির এলাকায় মহিলা পরিচালিত পুজো হয়। সেখানে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা ভিড় জমান। শহরের পোকাবাঁধে জলের উপরে ভাসমান পুজো মণ্ডপ চাক্ষুষ করতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। এদিন শহরের একাধিক পুজোর উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
অন্যদিকে, সোনামুখী শহরে দেওয়াবাজার, মনোহরতলা, রথতলা প্রভৃতি পুজো কমিটির পক্ষ থেকে দর্শনার্থীদের জন্য এদিন প্রসাদ বিতরণ করা হয়। খাতড়ার একটি বেসরকারি কলেজে এবার সরস্বতী পুজোয় থিম হিসেবে নালন্দা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষকে তুলে ধরা হয়েছে। অন্যদিকে, হীড়বাঁধ গ্রামের একটি পুজোর এবারের থিম সোশ্যাল মিডিয়া। হোয়াটস অ্যাপকে ওখানকার পুজো উদ্যোক্তারা থিম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেখানে সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরে থাকার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। ওই গ্রামেই রথের উপর সরস্বতী মহাকরণে যাচ্ছেন। সারেঙ্গা ব্লকের সারেঙ্গা মহাত্মাগান্ধী স্মৃতি বিদ্যাপীঠ উচ্চ বিদ্যালয়ের এবারের থিম বহুরূপে বাঁকুড়া। থিমের সাহায্যে শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজের ভাস্কর্য এবং বাঁকুড়ার বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়।
এদিন পুরুলিয়া শহর সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দারা বাগদেবীর আরাধনায় মাতেন। জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজগুলিতে কোথাও বিশালাকার প্রতিমার আকর্ষণ, আবার কোথাও রঙিন আলপনা ও চিত্র প্রদর্শনীও হয়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেই অধিকাংশ জায়গায় পুজো সম্পন্ন হয়। পুরুলিয়া শহরের জেকে কলেজ, পুরুলিয়া জেলা স্কুল, শান্তময়ী বালিকা বিদ্যালয়, চিত্তরঞ্জন বয়েজ স্কুল সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। নিস্তারিণী কলেজের ছাত্রীরা নিজেরাই পুরোহিতের ভূমিকায় ছিলেন। ওই পুজো ঘিরে অন্যান্যদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে। শহরের বেঙ্গল ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজে ৮ফুটের সরস্বতী প্রতিমা এবং আলোক সজ্জা বিশেষ নজর কাড়ে। একাধিক স্কুল ও কলেজে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও হয় সরস্বতীপুজো উপলক্ষে। এদিন রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকাতেও পুজো ঘিরে উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে।
শনিবার আরামবাগ মহকুমায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় প্রথমদিকে উদ্যাক্তাদের একাংশ চিন্তায় থাকলেও এদিন আবহাওয়া ছিল ঝলমলে। তাই বাগদেবীর আরাধনায় উদ্যোক্তারা কোনওরকম ত্রুটি রাখতে চাননি। আরামবাগ শহর সহ মহকুমায় সেই ভাবে বিগ বাজেটের সরস্বতীপুজো না থাকলেও পাড়ায়-পাড়ায় ছোট মণ্ডপ করে বিদ্যার দেবীর পুজো করা হয়েছে। কম বাজেট রেখেও উদ্যোক্তারা থিমের ছোঁয়া দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আরামবাগ, গোঘাটে এমনই কিছু পুজো মণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া বাসিন্দারা নিজেদের বাড়িতেও সরস্বতীপুজোর আয়োজন করেন। তবে পুরোহিতের অভাবে অনেককেই বিপাকে পড়তে হয় বলে দাবি। মহকুমার স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে সরস্বতীপুজোর আয়োজন করা হয়। পুজো উপলক্ষে বিভিন্ন এলাকাতেই নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।