Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে?
শুভা দত্ত

শুক্রবার সংসদে যে বাজেট প্রস্তাব পেশ হল হিসেব মতো সেটা দেশের চলতি সরকারের শেষ বাজেট—অন্তর্বর্তী বাজেট। কিন্তু, বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত পীযূষ গোয়েলের বক্তৃতা বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আচার-আচরণ দেখে মনে হল অন্তর্বর্তী নয়, আসন্ন অর্থবর্ষের জন্য পূর্ণাঙ্গ বাজেটই পেশ করল বিদায়ী সরকার! শুধু তাই নয়, গোটা বাজেট প্রস্তাব জুড়ে মধ্যবিত্ত থেকে কৃষক শ্রমিক প্রান্তিক মানুষজনের জন্য ‘ছাড়’ আর অর্থবরাদ্দের যে হিড়িক দেখা গেল—এককথায় তা নজিরবিহীন। মধ্যবিত্ত চাকুরিজীবীদের আয়করে বিরাট ছাড়ের পাশাপাশি কৃষক-শ্রমিকের জীবন সুরক্ষা থেকে ছোট ও মাঝারি গ্রামীণ শিল্পের বিকাশ, রেলের সার্বিক উন্নয়ন থেকে জিএসটি কমানো, গোরক্ষা থেকে উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণ, দেশজুড়ে পরিকাঠামো সড়ক, সেতুর বিস্তার ও উন্নয়নে যে বিপুল অর্থবরাদ্দ করা হল এককথায় তা নজিরবিহীন। আয়করে ছাড়ের বহর দেখে অতিবড় মোদি নিন্দুকও হতবাক হয়েছেন সন্দেহ নেই। ছাড়ের পরিমাণ যে একলাফে দ্বিগুণ হল—হতবাক হবেন না! মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মধ্যবিত্ত দেশ-জনতা আয়করে এমনই একটা পরিবর্তনই তো চেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মুখে নরেন্দ্র মোদির কিছু প্রতিশ্রুতিতেই দেশের সাধারণ চাকুরিজীবী মহলে এমন প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁরা ভেবেছিলেন কালাধন উদ্ধার করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পনেরো লক্ষ টাকা জমার ব্যবস্থা শেষ অব্দি করতে না পারুন, চড়া বাজারের মোকাবিলায় আয়করে কিছু ছাড় দিয়ে মোদিজি মধ্যবিত্তকে একটু রিলিফ দেবেন। কিন্তু, পর পর চারটে বাজেটের পর সে আশা যখন নিভেই গেছে বলা যায়—তখন এই ভোটবছরে শেষ বাজেটে একেবারে যাকে বলে ভরিয়ে দিলেন মোদিজির অর্থমন্ত্রী! বাজেটে যা দাঁড়িয়েছে তাতে বছরে সাত লক্ষ টাকা অব্দি আয় করমুক্ত হয়ে যাবে! পাঁচ লাখে সরাসরি ছাড়, পঞ্চাশ হাজার স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশান আর বিনিয়োগে আরও দেড় লাখ পর্যন্ত রেহাই। ভাবা যায়! হতবাক হবে না জনতা!
শুধু মধ্যবিত্ত কেন, কৃষক শ্রমিক? তাঁরাও তো তাঁদের উন্নয়ন সুরক্ষায় বাজেটে অর্থবরাদ্দের বন্যা দেখে নিশ্চয় ‘অভিভূত’। তবে, সরাসরি কৃষিঋণ মকুবের ঘোষণা তেমনভাবে দেখা গেল না বাজেটে। না থাকারই কথা। ওটা যে রাহুল গান্ধী হাইজ্যাক করে নিয়ে গেছেন। তিন রাজ্যে বিজেপিকে দুরমুশ করে ক্ষমতায় এসে করেও দেখিয়েছেন। সে পথে মোদিজি বা তাঁর কার্যনির্বাহী অর্থমন্ত্রী হাঁটেন কী করে? হাঁটলে লোকে তো বলতেই পারে, রাহুল গান্ধীর নীতিকে নকল করছেন প্রধানমন্ত্রী। সে জন্যই বিকল্প পথে কৃষক সন্তোষ বিধানের সর্বাত্মক চেষ্টা হয়েছে বাজেটে। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য মাসে তিন হাজার টাকা পেনশন, ‘পি এম কিষাণ’ প্রকল্পে দুই হেক্টর অব্দি জমির অধিকারী কৃষক মাসে দুই হাজার করে বছরে তিনবার অনুদান আর সেটা লাগু করা হল শেষ ডিসেম্বরের পয়লা থেকে। সুতরাং দেশের ১২-১৩ কোটি কৃষকজনের অ্যাকাউন্টে ঠিক ভোটের মুখে দু-হাজার করে টাকা ঢুকে পড়তেই পারে। সেই সঙ্গে ‘রাষ্ট্রীয় গোকুল মিশন’ প্রকল্পে গোরক্ষা ও গোরুদের সুন্দর করে জীবন কাটানোর জন্য বছরে সাড়ে সাতশো কোটি দেবার আয়োজনও আছে বাজেটে! আর কী চাই! এহেন বাজেটের পর দেশের কৃষকসমাজ যদি বিশেষ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে এবং মোদি সরকারকে ধন্য ধন্য করে তাতে আশ্চর্য কী? আর শুধু কৃষক কেন, দেশের শ্রমিকমহলের জন্যও তো অন্তর্বর্তী বাজেটে সুরক্ষা ও উন্নয়নখাতে বরাদ্দের অভাব নেই। শ্রমিকের মৃত্যুতে দ্বিগুণ, পি.এফ, গ্রাচুইটি দশ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ত্রিশ লক্ষ করা—আরও কত কী!
শুধু কি তাই? উচ্চবর্ণের জন্য দশ শতাংশ সংরক্ষণ, আর্থিকভাবে অনগ্রসর উচ্চবর্ণের জন্য স্কুলস্তরে ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ, রেলের আধুনিকীকরণে শত শত কোটির বরাদ্দ প্রতিরক্ষায় রেকর্ড তিন লক্ষ কোটি—ভাবা যাচ্ছে না! এমন একটা বাজেট যে হতে পারে এমন ‘জনহিতকর’ এমন ‘উদার মুক্তহস্ত’—সত্যি বলতে কী এখনও মানুষজন ভেবেই উঠতে পারছেন না! অথচ হয়েছে। সংসদে প্রধানমন্ত্রীর লাগাতার টেবিল চাপড়ানো সাধুবাদ নিয়ে এমন একটা অভূতপূর্ব বাজেট প্রস্তাবই শুক্রবার পেশ করেছেন ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। কেন দিন ফুরোনোর মুখে এমন একটা বাজেট তা আশা করি কাউকেই আজ বলে দিতে হবে না। ভোট এসে পড়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট। সেই ভোটের আগে জনমন জয়ের লক্ষ্যেই যে বিদায়বেলার অন্তর্বর্তী বাজেটকে এমন বিপুল লোভনীয় সব প্রস্তাবে টইটম্বুর করে পূর্ণাঙ্গ বাজেটের আকারে পেশ করা হল, জিএসটি কমানোর জন্য জিএসটি কাউন্সিলকে অনুরোধ জানানো হল—তা তো রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের প্রায় সকলেই বলছেন। খুব যে ভুল বলছেন এমনও কি বলা যাবে? বলা যেত, যদি দেখা যেত যে ক্ষমতায় এসে ইস্তক মোদিজির অর্থমন্ত্রী দেশের গরিব-মধ্যবিত্ত কৃষক-শ্রমিকের জন্য ফি-বছর বাজেটে এমন দরাজ প্রস্তাব পেশ করেছেন এবং বছরভর সেইসব প্রস্তাব বাস্তবায়নে সচেষ্ট থেকেছেন। কিন্তু, তা তো ঘটেনি। বরং, ‘স্বচ্ছ ভারত’, ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’, কালাধন উদ্ধার, নোটবন্দি, জিএসটি, জ্বালানি তেল গ্যাসের দাম বৃদ্ধি—একের পর এক সংস্কারী দাওয়াইতে গরিব মধ্যবিত্তের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে তুলেছেন। তারপর ২০১৯ মহাযুদ্ধ যখন ঘনিয়ে এসেছে আর তার মুখে পাঁচ রাজ্যের ভোটফলে বিপর্যয় যখন গেরুয়া শিবিরের শক্ত ভিতে ধাক্কা দিয়েছে, বোঝা গিয়েছে পদ্ম-রাজে দেশের মানুষের আস্থা টলেছে—তখন এই বাজেট! বিমুখ দেশের মুখ ফেরাতে শেষ অস্ত্র। কিন্তু, কথা হল—এভাবে বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে? লোকে পাঁচ বছরের কষ্টগুলো ভুলে কেবল কটা বাজেট প্রস্তাবে মজে গেরুয়া শিবিরের ২০১৯ ভোটবাক্স ভরিয়ে দেবে? বিশেষ করে যখন সেই মানুষজনের মনে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের জ্বালা রীতিমতো সতেজ ও সক্রিয়—তখন! বাজেটের প্রস্তাবগুলোও তো এক ধরনের প্রতিশ্রুতিই—তাই না?
কেউ কেউ বলছেন, মোদিজির এই লোভনীয় বাজেট প্রস্তাব ভোটের মুখে দেশের আম-পাবলিকের দরবারে কিছু সাড়া ফেলতে পারে। তবে তা ভোটফলকে কতটা প্রভাবিত করবে সে ব্যাপারে এখনও কেউই নিশ্চিত নন। তার কারণ, প্রাথমিকভাবে এই বাজেট মধ্যবিত্ত শ্রমজীবী জনতার মধ্যে একটা স্বস্তি খুশির আবহ তৈরি করলেও তার আয়ু দীর্ঘ হবার সম্ভাবনা কম। কেননা, এই বাজেট একটি বিদায়ী সরকারের বাজেট। একে যতই পূর্ণাঙ্গ বাজেটের খোলশ পরানো হোক জনতা জানে এটা অন্তর্বর্তী বাজেট। আসন্ন লোকসভা ভোটে দেশের মসনদে রং বদল হলে এইসব প্রস্তাব মূল্য হারাতেই পারে। তখন নতুন সরকার এসে নতুন বাজেট প্রস্তাব রাখতেই পারে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান সরকারও যদি ভোট জিতে ক্ষমতায় ফিরে আসে তখনও যে এইসব প্রস্তাব কার্যকর হবে এমন ভরসাও একশো শতাংশ ধরে রাখা মুশকিল। কারণ, এই প্রস্তাব মানতে হলে দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় বড় চাপ পড়বে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন। এবং তাঁর মতে, ভোট রাজনীতির স্বার্থে এমন বাজেট কখনওই কাম্য নয়। শুধু মমতাই কেন, অর্থনীতির অনেক বিশেষজ্ঞই মনে করছেন, এই বাজেট প্রস্তাবে একটা তাৎক্ষণিক চমক আছে ঠিকই, তবে এ দিয়ে দেশের বা দেশের মানুষের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন সম্ভব নয়। কারণ, এইসব প্রস্তাব বাস্তবায়িত করতে গেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ চাই। সে অর্থ কোথা থেকে আসবে তার তেমন দিশা বাজেটে কোথায়? তাছাড়া, এতে সরকারি কোষাগারের আয়েও টান পড়ার সম্ভাবনা। কিন্তু, ভোট বড় বালাই। ক্ষমতায় ফিরতে গেলে ২০১৯ মহাসংগ্রামে জিততেই হবে। সে জয় যে সহজ নয় সেটা আজ কে না বোঝেন। একে গেরুয়া-রাজের ওপর দেশের মানুষের আস্থা অনেকটাই ভেঙেছে, তার ওপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যেভাবে সংগঠিত হচ্ছেন দেশের তাবড় বিরোধীরা তাতে ২০১৯ সালের ভোটযুদ্ধে যে মোদিজি ও তাঁর গেরুয়া বাহিনীর জন্য কড়া লড়াইয়ের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে তাতেও সন্দেহ নেই। এমন অবস্থায় দেশজনতার মন ভোলাতে না পারলে যে সমূহ বিপদ। ‘উরি’ বা ‘অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইমমিনিস্টারে’র মতো কটা সিনেমা দিয়ে যে দেশের মানুষের মনে জাতীয়তাবোধ জাগানো বা কংগ্রেসের প্রতি বাড়তি বিতৃষ্ণা তৈরি করা যে সম্ভব না সেটা কে না বোঝেন। অতএব পদ্মবিমুখ মানুষের মন মজাতে বাকি রইল দান-খয়রাত আর আর্থিক ছাড়ের উপহার। শুক্রবারের অন্তর্বর্তী বাজেটকে তার এক উজ্জ্বল নমুনা বললে কি খুব ভুল হবে? সে ঠিক ভুল যাই হোক, দিনের শেষে প্রশ্ন সেই একটাই—এভাবে বাজেটে ভুলিয়ে দেশের মানুষের মন জেতা যাবে, পার হওয়া যাবে ২০১৯ লোকসভার ভোট বৈতরণী?
03rd  February, 2019
ভোটের কৈফিয়ত
পি চিদম্বরম

একটা আত্মবিশ্বাসী সরকার স্বাভাবিক অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করত আর এটাই করা উচিত, কিন্তু আত্মবিশ্বাসের মতো জিনিসটার ঘাটতি রয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের মধ্যে। শুধু বিজেপি এমপিদের বিষণ্ণ মুখগুলোর দিকে তাকান বিশেষত যাঁরা রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও উত্তরপ্রদেশ থেকে এসেছেন এবং আপনি আমার সঙ্গে একমত হবেন।
বিশদ

ফাঁকা অভিযোগ করে বা সিবিআই জুজু দেখিয়ে কি মমতার গতিরোধ করা যাবে?
শুভা দত্ত

২০১৯ যুদ্ধের দামামা বেশ ভালোমতোই বেজে উঠেছে। বোঝাই যাচ্ছে লোকসভা ভোট আর দূরে নেই। মাঝে বড়জোর মাস দুই-আড়াই। তারপরই এসে পড়বে সেই বহু প্রতীক্ষিত মহাসংগ্রামের দিন। দেশের শাসনক্ষমতার মসনদ দখলের যুদ্ধে মুখোমুখি হবে শাসক এবং বিরোধী শিবিরের রথী-মহারথীবৃন্দ।
বিশদ

10th  February, 2019
হৃদয় গিয়েছে চুরি
অতনু বিশ্বাস

আচ্ছা, হৃদয়টাকে (হৃদপিণ্ড মানে হৃদয় ধরে নিয়ে) সত্যি সত্যিই কি কোথাও ফেলে আসা যায় না? যদি সত্যিই না যায়, কুমিরটা সেটা বিশ্বাস করল কী করে? উপকথার কুমিররা হয়তো বোকা হয়, তবে তার তথাকথিত বোকামিকে অনেক ক্ষেত্রেই আমার নেহাতই সরলতা বলে মনে হয়েছে।
বিশদ

09th  February, 2019
ন্যানো, একটি স্বপ্নের অকাল মৃত্যু
মৃণালকান্তি দাস

ভক্সওয়াগেন বিটল। যে বছর ভারতে ন্যানোর আবির্ভাব, তার ঠিক ৭০ বছর আগে বাজারে এসেছিল এই ‘পিপলস কার’। গোটা জার্মানি জুড়ে শুধু রোড নেটওয়ার্ক বাড়ানোই নয়, দেশের মানুষকে সস্তায় গাড়ি চড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন অ্যাডলফ হিটলার। কে না জানে, ভক্সওয়াগেন মানেই তো ‘জনতার গাড়ি’।
বিশদ

08th  February, 2019
সিবিআই নাটকে শেষপর্যন্ত
মমতাই কি লাভবান হলেন না?
মেরুনীল দাশগুপ্ত

 নাটক? হ্যাঁ, নাটক। নাটক ছাড়া কী! বলা নেই, কওয়া নেই হঠাৎ করে রবিবারের শেষ বিকেলে কোত্থেকে চল্লিশ সিবিআই চলে এলেন, সন্ধের মুখে তাঁদের কজন জিজ্ঞাসাবাদের অছিলায় হানা দিলেন লাউডন স্ট্রিটে খোদ পুলিস কমিশনারের দরজায়, ঢোকার মুখেই কর্তব্যরত পুলিসের সঙ্গে বাধল সংঘাত, ছড়াল উত্তেজনা, কয়েক মুহূর্তের মধ্যে কলকাতা পুলিসের বড়কর্তারা হাজির, তর্ক-বিতর্ক ধস্তাধস্তি এবং শেষমেশ পুলিসের গাড়িবন্দি হয়ে দলের নেতা ডিএসপি সিবিআই ও আরও কয়েকজন শেক্সপিয়র সরণি থানায়!
বিশদ

07th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে যথেষ্ট আর্থিকশৃঙ্খলা অর্জিত হয়েছে
দেবনারায়ণ সরকার

সোমবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন। এই বাজেটে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। গত বছরের অনুমিত বাজেটের তুলনায় এটা ২১ শতাংশেরও বেশি। রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। 
বিশদ

05th  February, 2019
গাদকারি মাহাত্ম্য
পি চিদম্বরম

নীতিন গাদকারি একজন অন‌্যধরনের রাজনীতিক। তাঁর নিজের স্বীকার অনুযায়ী, তিনি একজন ভোজনরসিক, তিনি হাল ফ‌্যাশনের পোশাক পরেন এবং দেখে মনে হয় জীবনটাকে উপভোগও করেন। তিনি পাবলিক ফাংশনে ভাষণ দিতে পছন্দ করেন এবং এমনভাবে কথা বলেন যেন দুনিয়ার কে কী ভাবল তাতে তাঁর যায় আসে না।
বিশদ

04th  February, 2019
উন্নয়নের সঙ্গে আপস করে
জনমোহিনী বাজেট

দেবনারায়ণ সরকার

 শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মোদি সরকারের ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করলেন। কার্যত এটাকে পূর্ণাঙ্গ বাজেটই বলা চলে। বিশদ

02nd  February, 2019
ইয়ং ইন্ডিয়া
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রায় বছর দশেক হয়ে গেল এই পিতাপুত্রের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। যা ক্রমেই অত্যন্ত ঘনিষ্ঠতায় পর্যবসিত। রাউলাট বিলের প্রতিবাদ করে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করে বেড়াচ্ছিলেন। সেই সময় একটি সভা হয়েছিল এলাহাবাদে। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীকে বলা হয়েছিল স্থানীয় একজন আইনজীবীর বাড়িতে থাকতে।
বিশদ

01st  February, 2019
রাজনীতিক প্রিয়াঙ্কা: কতটা ম্যাজিক, কতটা অঙ্ক?
অতনু বিশ্বাস

অবশেষে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ওয়াধেরা সক্রিয় রাজনীতিতে নেমেই পরলেন। ওয়াকিবহল মহলে একটা আভাস ছিলই। সেটা সোনিয়া গান্ধীর অসুস্থতার কারণে। যাই হোক, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সব চাইতে বড় চমক হয়তো প্রিয়াঙ্কাই। আমরা এ ঘটনার রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং সম্ভাবনা একটু খতিয়ে দেখতে চাই এই আলোচনায়।
বিশদ

31st  January, 2019
বাজেট অন্তর্বর্তী হলেও চ্যালেঞ্জ আছে সর্বক্ষেত্রে
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শেষ বারের মতো মোদি সরকারে যে বাজেট পেশ হচ্ছে সেটি কার্যত ভোট অন অ্যাকাউন্ট,অর্থাৎ নতুন সরকার না আসা পর্যন্ত সব বিষয়ে কাজ চালানোর মতো কিছু বরাদ্দ করা। এর মধ্যে দিয়ে দেশের বিকাশ বা অর্থনীতির মেরামতে দীর্ঘ মেয়াদি কোনও ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়।
বিশদ

30th  January, 2019
পোড়া দেশ, খোঁড়া রাজনীতি 
মোশারফ হোসেন

বছর কুড়ি আগের ঘটনা। বিহারের হাজিপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি জমজমাট এলাকায় দুই বঙ্গসন্তান সাংবাদিককে ঘিরে জনা পঞ্চাশেক স্থানীয় বাসিন্দা। বেশিরভাগই মধ্যবয়সি বা তার চেয়ে প্রবীণ। ‘কলকাত্তা সে দো পত্রকার আয়া’—ভিড়টা এজন্যই। বিহারের মানুষের কাছে কলকাতার গুরুত্ব চিরকালই একটু অন্যরকম।  
বিশদ

29th  January, 2019
একনজরে
বিএনএ, কোচবিহার: দলের একাধিক নির্দেশকে অমান্য করার জেরে কোচবিহার পুরসভার দু’জন দলীয় কাউন্সিলারকে রবিবার সাসপেন্ড করেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার চন্দনা মোহন্ত ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন ঘোষকে দ্রুত সাসপেন্ডের চিঠি পাঠানো হবে।  ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহাত্মা গান্ধীর নামে একটি চেয়ার প্রফেসর পদ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই পদে যোগ দেওয়ার জন্য কোনও অধ্যাপকই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। অন্তত প্রথমবার বিজ্ঞাপনের পর আবেদনের সংখ্যা দেখে এমন ...

  নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রবিবার কাশ্মীরের আবহাওয়ার অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। সেখানে তাপমাত্রা এক ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে। শ্রীনগরের মাঠটিতে আর বরফ জমে নেই। তবে মাঠের অবস্থা ভালো রাখতে রিয়াল কাশ্মীরের কোচ রবার্টসন স্থানীয় টিআরসি গ্রাউন্ডে প্র্যাকটিস করাননি। ...

 নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পিএফ খেলাপিদের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থাৎ, কর্মীর বেতন থেকে পিএফ বাবদ টাকা কেটে নিলেও, তা পিএফ দপ্তরে জমা করছে না বহু সংস্থা। গোটা দেশেই এই অপরাধ বাড়ছে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। এবার এই বিষয়ে প্রত্যেকটি আঞ্চলিক অফিসকে সতর্ক করল ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম
১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের জন্ম
১৯১৭: মার্কিন লেখক সিডনি শেলডনের জন্ম
১৯৮০: ঐতিহাসিক রমেশচন্দ্র মজুমদারের মৃত্যু
১৯৯০: দক্ষিণ আফ্রিকার জেল থেকে মুক্তি পেলেন নেলসন ম্যান্ডেলা 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৫৪ টাকা ৭২.২৪ টাকা
পাউন্ড ৯০.৮২ টাকা ৯৪.০৯ টাকা
ইউরো ৭৯.৩৬ টাকা ৮২.৫৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
09th  February, 2019
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৭৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,০৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৫৩০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,১৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,২৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
10th  February, 2019

দিন পঞ্জিকা

 ২৮ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ২২/৪৪ দিবা ৩/২১। অশ্বিনী ৩৭/২৩ রাত্রি ৯/১২। সূ উ ৬/১৫/১২, অ ৫/২৬/৪২, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে পুনঃ ১১/২৫ গতে ২/৫১ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৯ গতে ৯/৩ মধ্যে পুনঃ ২/৩৮ গতে ৪/২ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৫ গতে ১১/৫১ মধ্যে।
২৭ মাঘ ১৪২৫, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, সোমবার, ষষ্ঠী ১১/০/১১। অশ্বিনীনক্ষত্র অপঃ ৫/২৪/৩২, সূ উ ৬/১৬/৩৫, অ ৫/২৪/৫৯, অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৫/৪২ মধ্যে ও ১০/৪৩/৫৭ থেকে ১২/৫৭/৩৮ এবং রাত্রি ৬/১৬/২৫ থেকে ৮/৫০/৪৪ মধ্যে ও ১১/২৫/৪ থেকে ২/৫০/৪৯ মধ্যে, বারবেলা ২/৩৭/৫৩ থেকে ৪/১/২৬ মধ্যে, কালবেলা ৭/৪০/৮ থেকে ৯/৩/৪১ মধ্যে, কালরাত্রি ১০/১৪/২০ থেকে ১১/৫০/৪৭ মধ্যে। 
৫ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে শুভ। বৃষ: মাতৃস্থানীয় ব্যক্তির স্বাস্থ্যোন্নতির ইঙ্গিত। মিথুন: বাহন ক্রয়বিক্রয়ের ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
১৮৪৭: বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসনের জন্ম১৮৮২: ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ...বিশদ

07:03:20 PM

পথ দুর্ঘটনায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে উত্তেজনা বীরভূম জেলার ময়ূরেশ্বরের কোটসুরে 

07:03:00 PM

পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়িতে স্কুলে ছাত্রীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য 

05:32:00 PM

মেট্রো চ্যানেলে ধর্না, গ্রেপ্তার মান্নান সহ অনেকে
কলকাতার মেট্রো চ্যনেলে ধর্নায় বসতে গিয়ে গ্রেপ্তার হলেন বিরোধী দলনেতা ...বিশদ

05:21:00 PM

বেশ কিছু বাস বন্ধ হাওড়ায়, চরম ভোগান্তি যাত্রীদের
হাওড়া ময়দান থেকে ১০টি রুটের মোট ২৮০টি বাস চলাচল বন্ধ ...বিশদ

05:16:17 PM