পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক অক্ষয় ঠাকুর বলেন, কোচবিহার পুরসভার তিনজন কাউন্সিলারকে আমরা শো -কজ করেছিলাম। তাঁদের মধ্যে দু’জন শোকজের জবাব দিয়েছিলেন। এঁদের মধ্যে একজনের শোকজের জবাব যথেষ্ট সন্তোষজনক রয়েছে। একজন জবাব দেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেননি। অপরজনের জবাব সন্তোষজনক ছিল না। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দলের নির্দেশকে অমান্য করার জন্য দু’জন কাউন্সিলারকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের সদস্যপদ খারিজ করার জন্য আমরা রাজ্য পার্টিকে জানাব। পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপন ঘোষ বলেন, দলের নির্দেশ অমান্য করিনি। দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা মানব। তৃণমূলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশ্নই নেই। এব্যাপারে অন্য কোনও মন্তব্য করব না। অপর কাউন্সিলার চন্দনা মোহন্তের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় ২০জন কাউন্সিলারের মধ্যে বামেদের আটজন কাউন্সিলার ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সিপিএমের একজন কাউন্সিলারকে আগেই বহিষ্কার করা হয়েছিল। ফব’র তিনজন কাউন্সিলারের মধ্যে দু’জন কাউন্সিলারের উপর এবার কোপ পড়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী পুর নির্বাচনে কোচবিহার শহর থেকে ফব কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে বলে রাজনৈতিকমহলের আশঙ্কা। দলের একাংশের মতে ১, ১৬ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের কাছে শো-কজের চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে তাঁদের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। পুরসভার ১৬ নম্বর সহ একাধিক বাম কাউন্সিলারের সঙ্গে আলোচনা করেই চেয়ারম্যান নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন বলেও পুরসভার অন্দরে চর্চা রয়েছে। সেক্ষেত্রে দলে নাম লেখানো থাকলেও তাঁরা এতদিন কার্যত তৃণমূলের নৌকাতেই চেপে ছিলেন। আগামী ১৪-১৭ ফেব্রুয়ারি কোচবিহারে বিধানসভা ভিত্তিক চারটি কর্মীসভা করবে দল। ইনডোর সভাগুলিতে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও রাজ্য সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য গোবিন্দ রায় থাকবেন।