পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
নিজেদের অর্থ ব্যবস্থায় কালো টাকার উপস্থিতি বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তাছাড়া সন্ত্রাসবাদে অর্থ জোগান বন্ধ করতেও কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ করতে চায় ইউরোপীয় দেশগুলোর এই সংগঠন। সৌদি আরব সহ ২০টিরও বেশি দেশকে তাই কালো তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। এই তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে আসা অর্থের বিষয়ে কড়া যাচাই-বাছাইয়ের বাধ্যবাধকতা তৈরি হবে। ভুয়ো লেনদেনের মাধ্যমে অর্থ পাচার করা হচ্ছে, এমন সন্দেহ হলেই আটকে দেওয়া হবে লেনদেন। এই বিষয়ে তথ্য জানাতে হবে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে।
কিন্তু ব্রাসেলসের এই তালিকায় সৌদি আরবের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। লন্ডন চাইছে না সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক। দেশটি দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে মিত্র হিসেবে বিবেচিত। এমনকী মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের দিকে আঙুল উঠলেও বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। সৌদি আরবকে কালো তালিকাভুক্ত করার বিরোধিতার ঘটনাটি ঘটেছে গত সপ্তাহে ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিনিধিদের এক সভায়। সেখানে ব্রিটেনের পাশাপাশি জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, ইতালি, বেলজিয়াম এবং গ্রিস আপত্তি জানিয়েছে। ব্রিটেনের ভাষ্য, কমিশনের প্রস্তাবে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন হওয়ার উপাদান রয়েছে। লন্ডনকে সমর্থন জানিয়ে বাকিরা বলেছে, এমন তালিকা তৈরির আগে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আরও বেশি আলোচনা হওয়া দরকার। জবাবে ব্রাসেলসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থ পাচার রোধে ব্যর্থতার দায়ে কালো তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে এখন যারা আপত্তি জানাচ্ছেন তারা অনেক আগে থেকেই এ বিষয়ে জানতেন। কিন্তু এখন সৌদি আরবের নাম যুক্ত হতে দেখে তারা আপত্তি জানাতে শুরু করেছেন।
তালিকা তৈরি হয়ে গেলে এর বিরুদ্ধে ভোট আহ্বান করা যেতে পারে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে। ৩০ দিনের মধ্যে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হতে হবে। তারা তালিকার বিরুদ্ধে ভোট দিলে, তালিকা বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বলছেন, একবার তালিকায় প্রকাশিত হয়ে গেলে কালো টাকার কালো তালিকা বাতিলের বিষয়ে ভোটাভুটি আহ্বানের সম্ভাবনা খুবই কম।