পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পিডিভিএসএ’র বিরুদ্ধে আমেরিকার কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞায় এমনিতেই ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল কারাকাস। এর সঙ্গে যুক্ত হয় ভেনেজুয়েলার তেল ক্ষেত্র থেকে উপার্জিত অর্থ দেশটির স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদোকে দেওয়ার ঘোষণা। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন সম্প্রতি ওয়াশিংটনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো এবং তার মিত্ররা এখন থেকে আর দেশটির জনগণের সম্পদ হরণ করতে পারবে না।’ অন্যদিকে রাষ্ট্রের তেল বিক্রি থেকে উপার্জিত অর্থ সরকারবিরোধী আন্দোলনে ব্যয়ের হুঁশিয়ারি দেন স্বঘোষিত প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুইদো। এমন পরিস্থিতিতেই বিশ্ববাজারে তেল বিক্রিলব্ধ অর্থ জমা দিতে রুশ ব্যাঙ্কের শরণাপন্ন হয় ভেনেজুয়েলা সরকার।
এদিকে বিরোধী নেতা হুয়ান গুইদো’র নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে রায় দিয়েছে ভেনেজুয়েলার সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, গুইদো’র প্রেসিডেন্সি দাবি অবৈধ। বিচারক জুয়ান মেনডোজা এক বিবৃতিতে বলেন, গুইদোর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দেশের সংবিধান স্বীকৃতি দেবে না। দেশের প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় তিনি অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করছেন। ইতিমধ্যেই গুইদোর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভেনেজুয়েলার আদালত। তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হুয়ান গুইদোকে ক্ষমতায় বসাতে তৎপর রয়েছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের একজন ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষ ত্যাগ করতে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছে আমেরিকা।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ আর অর্থনৈতিক সংকট ভেনেজুয়েলার জনগণকে তাড়িত করেছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে। বিক্ষোভের সুযোগে গত ২৩ জানুয়ারি নিজেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুইদো। এরইমধ্যে আমেরিকাসহ পশ্চিমী দুনিয়ার স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। তবে নিজের দেশের শক্তিশালী সেনাবাহিনী এখনও পর্যন্ত মাদুরোর পক্ষে রয়েছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রাশিয়া, চীন, তুরস্ক, মেক্সিকো, কিউবার মতো দেশগুলোর সমর্থন পাচ্ছেন মাদুরো।