পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
স্টানিকজাইয়ের নেতৃত্বেই আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে কয়েক মাস ধরে তালিবানের একটি দল আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করছে। ওই আলোচনার জন্য স্টানিকজাইকে প্রধান করে কাতারে তালিবান একটি কার্যালয় খুলেছে। স্টানিকজাই বলেন, ‘যুদ্ধের থেকে শান্তি আনা অনেক কঠিন। আশা করি আলোচনার মাধ্যমেই দীর্ঘ দিনের এই যুদ্ধের অবসান হবে।’ আফগানিস্তানে শান্তি আলোচনার জন্য গত কয়েক মাসে স্টানিকজাই আমেরিকার বিশেষ দূত জালমে খলিলজাদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। জানুয়ারিতে চুক্তির বিষয়ে একটি ‘খসড়া তৈরির কথাও জানিয়েছেন খলিলজাদ। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি এবং তালিবান ভবিষ্যতে কোনও বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠিকে আফগান মাটি ব্যবহার করতে দেবে না — এই নিশ্চয়তার ভিত্তিতে ওই খসড়া পরিকল্পনা হয়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তানে যুদ্ধ শেষ হয়েছে দাবি করে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ইচ্ছার কথা ঘোষণা করেন। স্টানিকজাই এ ব্যাপারে বিবিসিকে বলেছেন, আমার বিশ্বাস ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তানে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চাইছে। আমরা তাঁর কাছে সেটিই প্রত্যাশা করি।
উল্লেখ্য, বিশ্বের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের তুলনায় তালিবান হামলাতেই সবচেয়ে বেশি অসামরিক নাগরিক হতাহত হয় বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। আফগানিস্তানে ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ছিল কট্টর তালিবান শাসন। মহিলাদের দমনপীড়নের জন্য কুখ্যাতি পেয়েছিল তালিবান। মহিলাদের স্বাধীনতা নিয়েই এবার তালিবান নেতা স্টানিকজাই বলেছেন, ‘তালিবানের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে মহিলাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। কারণ, তালিবান ইসলামিক আইন এবং আফগান সংস্কৃতির ভিত্তিতে মহিলাদের তাদের অধিকার দেবে। তারা স্কুল,কলেজ ও ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে পারবে। চাকরিও করতে পারবে।’