পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
শনিবার রাতে হাঁসখালি থানার ফুলবাড়িতে নিজের বাড়ির কাছে সরস্বতী পুজোর মণ্ডপের পাশে খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস(৪০)। রাত থেকেই তৃণমূলের নেতা কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। রবিবার সকাল থেকে আরও ভিড় বাড়ে। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নেতা নেত্রীরা আসেন হাসপাতালে। সকাল ১১টা নাগাদ ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর হাসপাতালে পৌঁছন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও জেলার সাংগঠনিক পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল। তাঁরা শেষ শ্রদ্ধা জানান বিধায়ককে। এরপর মৃতদেহ নিয়ে কৃষ্ণনগরে দলের জেলা কার্যালয়ে পৌঁছন তাঁরা। সেখানে শ্রদ্ধা জানান কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু সহ অন্যান্য নেতানেত্রীরা।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ হাঁসখালির ফুলবাড়িতে বিধায়কের শববাহী যান পৌঁছয়। ফুলবাড়ির মাঠে তখন হাজার হাজার মানুষ। দেহ পৌঁছতেই শোক আছড়ে পড়ে। বিধায়কের বাড়িতেও যান দলীয় নেতারা। বিধায়কের মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ও অনুব্রতবাবু। ২০১৬ সালে তেহট্টের হরিপুরের রুপালি হালদারের সঙ্গে বিয়ে হয় বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের। বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল জাঁকজমক সহকারে। এক বছর তিন মাসের একটি ছেলে রয়েছে তাঁদের। স্বামীর মৃত্যুর খবর শোনার পর রুপালি বারবার জ্ঞান হারাচ্ছিলেন। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে পৌঁছে রুপালির সঙ্গে কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খুনের রাজনীতিকে সামনে রেখে সমাজে যারা অস্থিরতা তৈরি করেছে, তারাই প্রোপাগান্ডা করছে, হুমকি দিচ্ছে, প্ররোচনা দিচ্ছে। সত্য আমার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল, কয়েকদিন আগে আমার বাড়িতে দুজনে তিন চার ঘণ্টা কথা বলেছিলাম। এই ঘটনার পর আমার কোনও ভাষা নেই। মুখ্যমন্ত্রীও ঘটনা শুনে শোকস্তব্ধ। আমরা এসেছি শ্রদ্ধা জানাতে। যারা ওকে খুন করেছে তারা ছাড় পাবে না। এই খুনের পরিকল্পনায় যারা আছে, কঠোর শাস্তি পাবে। মুকুল রায়ের নাম জড়ানো প্রসঙ্গে পার্থবাবু বলেন, সমস্তটাই প্রশাসনিক স্তরে আছে। এ ব্যাপারে আমি মন্তব্য করব না। যত বড়ই নেতা হোন, কেউ ছাড়া পাবে না। অনুব্রতবাবু বলেন, সত্যজিৎ দক্ষ সংগঠক ছিল। ওর সঙ্গে আমার পরিচয় ২০১১ সাল থেকে। যারা এই খুন খারাপি করছে তাদের আমি ফাঁসি চাইছি। খুন দেখিয়ে আমাদের লাভ নেই। তৃণমূল রক্তবীজের ঝাড়।
এদিকে ধৃত বিজেপি কর্মী সুজিত মণ্ডলের মা ভানু মণ্ডল দাবি করেছেন, ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। তার চিকিৎসা চলছে। ছেলে বিজেপি করত। ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। একটা সময় ছেলে তৃণমূল করত। আরেক ধৃত কার্তিক মণ্ডল তৃণমূল সমর্থক। ধৃতের স্ত্রী সুনীতা মণ্ডল বলেন, আমার স্বামী গেঞ্জি কারখানায় কাজ করত। বিধায়কের সঙ্গেই ঘোরাফেরা করত। তবে শনিবার মেলায় যায়নি। রাত ৯টা নাগাদ পুলিস এসে স্বামীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হল।