পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এদিন অপরেশকে নিয়ে আসার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। কেউ কেউ দাবি জানাতে থাকেন, অপরেশকে আমাদের হাতে তুলে দিন। আমরাই তার বিচার করব। এদিকে পুলিসি জেরায় অপরেশ স্বীকার করেছে, কিছুদিন আগে সে নন্দীগ্রামের একটি মেলা থেকে ছুরি কিনেছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌমিতাকে কোনও এক ছুতোয় বাড়ির পিছনে খড়ের গাদার কাছে নিয়ে যায় অপরেশ। তারপর ওই ছুরি দিয়ে স্ত্রীর গলার নলি কেটে দেয়। খুনের সময় স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি হয়। রক্ত লেগে যায় তার পোশাকে। এরপর বন্ধু সুমনের বাড়িতে গিয়ে তাকে সবকিছুই খুলে বলে অপরেশ। তার রক্তমাখা জামাকাপড় সুমন নিজের বাড়ির খাটের নীচে লুকিয়ে রেখে দেয়। এরপর পরিষ্কার হয়ে এবং বডি স্প্রে গায়ে নিয়ে অপরেশ সুমনকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যায় এবং স্ত্রী সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে জানায়। তাছাড়া প্রথম থেকেই অপরেশের কথায় নানা অসঙ্গতি উঠে আসছিল। পুলিস তাকে চেপে ধরতেই সে খুনের কথা কবুল করে।
কাঁথির এসডিপিও পার্থ ঘোষ বলেন, স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছে অপরেশ। একাধিক মহিলার সঙ্গে সে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। যার প্রতিবাদ করেছিলেন মৌমিতা। তাছাড়া মৌমিতার গায়ের রং কালো ছিল। যা অপরেশের পছন্দ ছিল না। এইসব কারণেই সে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে আমরা জানতে পারছি। তবে, অপরেশের একার পক্ষে খুন করা সম্ভব নয়। আরও কেউ যুক্ত রয়েছে। তা আমরা অপরেশকে জেরা করে জানার চেষ্টা করছি। প্রসঙ্গত, মৌমিতাকে খুনের অভিযোগে পুলিস আগেই অপরেশ, তার বাবা তরুণ দাস, মা মাধুরী দাস এবং অপরেশের বন্ধু সুমনকে গ্রেপ্তার করেছিল। মাধুরীদেবী বর্তমানে জেল হেফাজতে এবং বাকিরা পুলিসি হেফাজতে রয়েছে।