পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
পুরুলিয়া জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি পুরুলিয়া জেলায় মোট ৪৬৩জন শিক্ষকের বদলি হয় অন্য স্কুলে। বিভিন্ন স্কুলের উদ্বৃত্ত শিক্ষকদের বদলি করা হয় বলে শিক্ষাদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই বদলির ক্ষেত্রে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির। এদিনের বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সংসদ সদস্য মৃগাঙ্ক মাহাত, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নব্যেন্দু মাহালি, গৌতম রায়, নরেন চক্রবর্তী প্রমুখ।
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিমল মাহাত বলেন, সম্প্রতি উদ্বৃত্ত শিক্ষক হিসেবে ৪৬৩জন শিক্ষকের বদলির প্রক্রিয়ায় সঠিক নিয়ম মানা হয়নি। শিক্ষামন্ত্রী বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র শিক্ষকদের অনুপাত বাড়ানোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ওই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু, শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা যে পদ্ধতি মেনে এই বদলি করেছেন, তা নিয়ম বহির্ভূত। এই বদলির ফলে কোনও স্কুল শিক্ষকশূন্য হয়েছে। কোথাও স্কুলে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন, কোথাও আবার বদলির প্রক্রিয়ার ফলে স্কুলে শুধুমাত্র প্যারাটিচার রয়েছেন। আধিকারিক ও কর্মচারীদের এবিষয়ে আরও যত্নবান হয়ে তালিকা তৈরি করা উচিত ছিল। কিছু কর্মী এবং আধিকারিক লোকসভা ভোটের আগে শিক্ষক মহলে রাজ্য সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরির উদ্দেশ্যেই এই কাজ করেছেন।
বিমলবাবু আরও বলেন, বদলি প্রক্রিয়া ছাড়াও সর্বভারতীয় বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন বৃদ্ধি, ২০১৮সালের ২২সেপ্টেম্বরের পর শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশে শিক্ষকদের বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ থাকার নির্দেশের পরেও কীভাবে একের পর এক শিক্ষকের বদলি হচ্ছে এবং ওই নির্দেশের পর কাদের বদলি হয়েছে, তাঁদের তালিকাও প্রকাশ করার দাবি জানানো হয়েছে। এদিন মোট ১৬ দফা দাবি জানানো হয়েছে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে।
মৃগাঙ্কবাবু বলেন, বিষয়টি নিয়ে দলের রাজ্য নেতৃত্ব এবং প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে প্রয়োজনে আলোচনা করব। যাতে শিক্ষকদের সমস্যা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে।
এবিষয়ে জানতে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অলোক মহাপাত্রকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।