পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
এব্যাপারে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ইতিমধ্যেই ওয়েস্টবেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন স্মার্ট কার্ড চালু করেছে। অন্য সংস্থাগুলিও করবে।
এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান তমোনাশ ঘোষ বলেন, আমরা সরকারি বাসে মান্থলি টিকিট চালুর ব্যাপারে উদ্যোগ নিচ্ছি। বাসের টিকিট কাটার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যাত্রীদের ঝক্কি কমবে। অন্যদিকে, আর্থিক দিক দিয়েও স্বচ্ছতা বাড়বে। তবে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো গড়ার পরেই এটি চালু করা হবে। এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান মিহির গোস্বামী বলেন, আমরা এখনই মান্থলি কার্ড চালু করছি না। তবে স্মার্ট কার্ড কিছু রুটে চালু আছে। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ ছাড়ও রয়েছে। প্রতিটি রুটেই সেই কার্ড চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে নিত্যযাত্রীদের হয়রানি অনেকটা কমবে।
তৃণমূল সরকার পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনেছে। ধুঁকতে থাকা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাগুলি এখন দাপটের সঙ্গে বেসরকারি বাস পরিবহণকে টেক্কা দিচ্ছে। প্রত্যন্ত গ্রামের রাস্তা উন্নত হওয়ায় সেখানেও সরকারি বাস ছুটছে। প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ থেকে জেলার সদর শহরের বাসিন্দারা ক্রমশ সরকারি বাস পরিষেবার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছেন। দ্রুত পৌঁছনোর লক্ষ্যে সরকারি বাসে নিত্যযাত্রীদের ভিড় বাড়ছে। এবার তাঁদের জন্যই বিশেষ ব্যবস্থা চালুর উদ্যোগ নিচ্ছে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা। রেলের মতোই মান্থলি টিকিট কেটে নিলে সারা মাস নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করা যাবে। এমনকী, সেক্ষেত্রে ভাড়ায় কিছুটা ছাড়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে সরকারি বাসের কন্ডাক্টরদের ভাড়া নিয়ে ঝামেলা হয়। অনেক সময়ে আবার খুচরো দেওয়া নিয়ে অশান্তি হয়। মান্থলি চালু হলে সেই হয়রানির অবসান ঘটবে। অন্যদিকে অনেক সময় অভিযোগ ওঠে, একশ্রেণীর নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কিছু কন্ডাক্টরদের অশুভ আঁতাতে ভাড়া কম দিয়ে টিকিট না নিয়ে যাতায়াত চলে। যার জেরে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হয়। কর্তৃপক্ষের আশা, মান্থলি সিস্টেমে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকলে সেই পথে আর হাঁটার দরকারও হবে না।
অপরদিকে, কলকাতা ও শহরতলি এলাকায় স্মার্ট কার্ডের প্রচলন হয়েছে। মোবাইল রিচার্জের মতোই একবার টাকা দিয়ে ওই কার্ড রিচার্জ করা যায়। এবার দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গেও এটি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বীরভূমের বাসিন্দা নিত্যযাত্রী রবিন দাস, ধীরেন মণ্ডল বলেন, মান্থলি সিস্টেম চালু হলে খুবই ভালো হয়। তবে কতদিনে তা চালু হয় সেটাই দেখার। এছাড়া সঠিক পরিকাঠামো গড়ার পরই এটি চালু করা উচিত। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়বে।