পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৯০৫জন শিক্ষকের বদলির নির্দেশ আসে। সোমবার থেকে শিক্ষকদের বদলির চিঠি ধরানো শুরু হয়। বদলিকে কেন্দ্র করে অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে যেমন শিক্ষকরা আন্দোলন শুরু করে দেন, তেমনই শিক্ষক তুলে নিলে পঠনপাঠন ব্যাহত হবে, এই অভিযোগ তুলে আন্দোলন শুরু করে দেন অভিভাবকরাও। তাতে অংশ নেয় পড়ুয়ারা। এর ফলে জেলার অনেক স্কুলেই গত এক সপ্তাহ ধরে ডামাডোল চলছে বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এদিনই প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি নারায়ণ সাঁতরা বিদ্যালয় পরিদর্শকদের ডেকে পাঠিয়ে মেদিনীপুরে বৈঠক করেন। তিনি বলেন, দু’একটি জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। বেশিরভাগ জয়গায় বদলি নিয়ে সেরকম কোনও অভিযোগ নেই। যেসব জায়গায় অভিযোগ আছে, এদিন পরিদর্শকদের নিয়ে বৈঠক করে তার সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সমাধানের পথে যাচ্ছি।
জানা গিয়েছে, অন্যান্য এলাকার মতো এদিন দাঁতন-২-এর বিডিও অফিসের সামনে অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, যেভাবে শিক্ষক তুলে নেওয়া হচ্ছে, তাতে পঠনপাঠন ব্যাহত হবে। অবিলম্বে নির্দেশ স্থগিতের দাবি জানান তাঁরা। সেইসঙ্গে তাঁরা জানিয়ে দেন, নতুন শিক্ষক না দিলে পুরনো শিক্ষককে অন্য স্কুলে যেতে দেওয়া হবে না। জাহালদা চক্র অফিসেও অভিভাবকরা এদিন বিক্ষোভ দেখান। শ্রীকৃষ্ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ও রৌড়দা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাতে অংশ নেয় পড়ুয়ারাও। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শিক্ষক বদলির ফলে এই ব্লকে একাধিক স্কুলে পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক সংখ্যা কমে গিয়েছে। আবার অনেক স্কুলে একজন শিক্ষক হয়ে গিয়েছেন। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে।