পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি। প্রতিকার: আজ দই খেয়ে ... বিশদ
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৫০সালে কলেজ তৈরি হয়। কলেজের লাইব্রেরিতে বর্তমানে প্রায় ৩০হাজার বই রয়েছে। কিন্তু, এতদিন লাইব্রেরির কাজ চলত পুরনো প্রথায়। ছাত্রছাত্রীরা তাঁদের লাইব্রেরি কার্ড এনে গ্রন্থাগারিককে দেখিয়ে বই সংগ্রহ করতেন। ফলে বই খুঁজতে অনেকটা সময় লেগে যেত। আবার কিছু সংখ্যক বই ছাত্রছাত্রীরা আদান-প্রদান করত। নির্দিষ্ট কোনও বই পেতে হলে ছাত্রছাত্রীদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো বলে অভিযোগ। কারণ, কোন বই কোথায় রাখা রয়েছে, তা খুঁজে পেতে কয়েকদিন লেগে যেত।
কিন্তু, সম্প্রতি এই সমস্যা দূর হয়েছে। পুরনো লাইব্রেরিকে ডিজিটাল লাইব্রেরিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। লাইব্রেরি কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, লাইব্রেরির নতুন এই ব্যবস্থা একটি সফটওয়ারের মাধ্যমে করা হচ্ছে। ওই সফটওয়ারে কী কী বই মজুত রয়েছে, বইগুলি কোথায় রয়েছে তা লাইব্রেরির কম্পিউটারে লিখে ক্লিক করলেই বিস্তারিত চলে আসবে। এরপর তা কর্মীদের বললেই বই সংগ্রহ করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। বই সংগ্রহের ক্ষেত্রে আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে না ছাত্রছাত্রীদের।
ওই কলেজের গ্রন্থাগারিক ধীমান চৌধুরী বলেন, এছাড়াও আমাদের কলেজ থেকে একটি অ্যাপ তৈরির প্রস্তুতি চলছে। যেখানে ছাত্রছাত্রীরা কলেজ থেকে দেওয়া কোড ব্যবহার করে অনলাইনের মাধ্যমে প্রায় এক লক্ষ বই বিনা সাবক্রিপশনে সার্চ করতে পারবেন। ছাত্রছাত্রীদের কোড দেওয়ার কাজ চলছে। এটা হলে গেলে কলেজ ছাত্রছাত্রীরা খুব উপকৃত হবেন। কারণ, ওই অ্যাপের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীরা দৈনিক খবরের কাগজ থেকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক চাকরির পরীক্ষার টিপস পাবেন। কর্মসংস্থান মূলক খবর জানতে পারবেন।
লাইব্রেরিতে নতুন ব্যবস্থা চালু নিয়ে কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী কাবেরী চৌধুরী বলেন, নতুন সিস্টেমে আমাদের খুবই সুবিধা হয়েছে। এখন লাইব্রেরিতে গিয়ে কম্পিউটারে সার্চ করে জানতে পারি, আমার প্রয়োজনীয় বই রয়েছে কিনা। থাকলে সেটা দু’মিনিটের মধ্যেই পেয়ে যাচ্ছি। বিএ প্রথমবর্ষের ছাত্র বিশ্বনাথ দাস বলেন, কয়েকমাস আগেও লাইব্রেরিতে বই সংগ্রহ করতে গেলে লাইন দিয়ে দাঁড়াতে হতো। কিন্তু, এখন দাঁড়ানোর দরকার পড়ে না। বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র কমলেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আগামী দিনে আমরা অনলাইনে কলেজের অ্যাপে কাজ করতে পারব। বাড়িতে বা মোবাইলে সার্চ করে প্রয়োজনীয় বই দেখতে পাব। কলেজ থেকে ইতিমধ্যেই আমাদের কোড দেওয়া হয়েছে।
কলেজের টিআইসি দ্বারকেশ্বর দত্ত বলেন, লাইব্রেরির ডিজিটাল সিস্টেম জেলার মধ্যে প্রথম আমরা করতে পেরেছি। এমনকী, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত কলেজগুলির মধ্যেও আমরা প্রথম এই কাজ করতে পেরেছি। এতে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কলেজের কর্মীরাও উপকৃত হয়েছেন।