কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
উল্লেখ্য, স্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসাবে নিয়োগ, পদোন্নতি সহ একাধিক দাবিতে ২০ নভেম্বর থেকে লাগাতার কর্মবিরতি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা। ইতিমধ্যে উপাচার্য স্বাগত সেন পদত্যাগ করায় ও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকায় সমস্যা আরও ঘনীভূত হয়েছে। নভেম্বর মাসের বেতন পাননি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক থেকে শুরু করে কোনও কর্মীই।
শনিবার সারা বাংলা তৃণমূল শিক্ষাবন্ধু সমিতির গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সম্পাদক শুভায়ু দাস বলেন, আমরা চরম হতাশায় ভুগছি। তবে হাল ছাড়ছি না। আমাদের আন্দোলন ন্যায্য দাবির আন্দোলন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সব আধিকারিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু সমাধান সূত্র বের হচ্ছে না কর্তৃপক্ষের অনমনীয় মনোভাবের কারণেই। উপাচার্য ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। তাঁর কাছে আমাদের আর কোনও প্রত্যাশা নেই। কিন্তু বর্তমান অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার যেভাবে ক্যাম্পাস ছেড়ে বাইরে রয়েছেন তাতে তাঁর প্রতি আমাদের আর কোনও আস্থা নেই। তিনি চেয়ারে থাকলে সমস্যা মিটবে না। কারণ তিনি সামনে থেকে আলোচনা না করে বাইরে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। আমরা অবিলম্বে চাইছি হয় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন, তা না হলে পদত্যাগ করুন। নতুন উপাচাত্য দায়িত্ব নিয়ে এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। তাহলে আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে পেতে পারি।
যদিও অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিপ্লব গিরির বক্তব্য, বর্তমান টালমাটাল পরিস্থিতিতে তিনি পদত্যাগ করলে সমস্যা আরও জটিল হতে পারে। তাই তিনি পদত্যাগ করবেন না।
উল্লেখ্য, অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিত্ত আধিকারিক ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন ইতিমধ্যেই।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের কর্মীদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে তাতে যোগ দিয়েছেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলকাতা ক্যাম্প অফিসের শিক্ষাকর্মীরাও। হাতে পোস্টার ও ব্যানার নিয়ে একই দাবিতে কলকাতাতে আন্দোলন শুরু করেছেন তাঁরাও।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী সোমবার থেকে শনিবারের মধ্যে নতুন উপাচার্যের নাম ঘোষণা হতে পারে। তিনি দায়িত্ব ভার নিলে তাঁর সঙ্গে খোলামনে নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মী নেতৃত্ব।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় আন্দোলন খাতায় কলমে হয়নি। কিন্তু তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহারের আপাতত যে কোনও সম্ভাবনাই নেই তা জানানো হয়েছে শিক্ষাকর্মীদের পক্ষ থেকে।
নতুন উপাচার্য কে হতে পারেন তা নিয়েও জল্পনা অব্যাহত বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। দায়িত্ব নিয়েই নতুন উপাচার্যের সামনে শিক্ষাকর্মীদের আন্দোলন প্রত্যাহার করানোটাই যে একটা বড় চ্যালেঞ্জ, তা মানছে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষই।