আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
রোগী ও পরিজনেরা বলেন, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেশিনপত্র আনা হয়েছে। কিন্তু সেগুলি রোগীদের কোনও কাজে আসছে না। মেশিনগুলি পড়ে থেকে থেকে অকেজো হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দ্রুত মেশিনগুলি চালু করে রোগীদের পরিষেবা দেওয়া উচিত। এতে হাসপাতালের চিকিৎসার মান বাড়বে। চাঁচলের বিধায়ক কংগ্রেসের আসিফ মেহেবুব বলেন, চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এখনও ইউএসজি পরিষেবা চালু হয়নি। ফলে রোগীদের প্রচুর টাকা খরচ করে বাইরে থেকে ওই পরিষেবা নিতে হচ্ছে। তাছাড়া হাসপাতালের ওটি’র ভেন্টিলেশনও কাজে আসছে না। আইসিইউ ভবনটি পুরনো। সেখানে রোগীদের সমস্যা হচ্ছে। রোগীদের স্বার্থে পরিষেবাগুলি ঠিকঠাক করা প্রয়োজন। তৃণমূলের চাঁচল ১ ব্লক সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার জন্য মেশিনপত্র আনা হলেও ঠিকঠাক কাজে আসছে না। ফলে মানুষকে বাইরে থেকে সমস্ত পরীক্ষা করাতে হচ্ছে। পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষেবা চালু করছে না তা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি নিয়ে আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সুপার সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চিকিৎসকের অভাবে আমরা ইউএসজি পরিষেবা এতদিন চালু করতে পারিনি। সম্প্রতি চিকিৎসক পেয়েছি। শীঘ্রই পরিষেবা চালু করে দেব। সিটি স্ক্যানের জন্য পরিকাঠামো তৈরি করে পরিষেবা চালু করা হবে। বাকি অন্যান্য পরিষেবা নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।
চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বছর খানেক আগে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইউএসজি মেশিন কেনা হয়েছে। কিন্তু সেটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। যখন মেশিন আনা হয়েছিল সেসময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ছিল না। বর্তমানে চিকিৎসক চলে এলেও কর্তৃপক্ষের মেশিন চালুর বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। এর ফলে রোগীদের বাইরের নার্সিংহোমগুলি থেকে আল্ট্রাসোনোগ্রাফির সমস্ত কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়াও সিটিস্ক্যান পরিষেবা মিলছে না। সিটি স্ক্যান পরিষেবা চালু হলে আরও আধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন রোগীরা। আইসিইউ ভবনটি ড্যাম হয়ে গিয়েছে। সেখানে রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ সিস্টেম বেহাল অবস্থায় আছে। ছোট ঘরের মধ্যে রোগী ও পরিজনদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। টেকনিশিয়ানের অভাবে আইসিইউ ঘরে ভেন্টিলেশন মেশিন পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে।