শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
এখানেই শেষ নয়। মমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন দিলীপ মহারাজ। তাঁর কথায়, মমতা সব সময় সঙ্ঘের পাশে থাকেন এবং সব রকম ভাবে সাহাজ্য করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, সঙ্ঘ কারও বিরুদ্ধে বা বিপক্ষে নয়। জনকল্যাণমূলক কাজে চালিয়ে যেতে দিল্লির পাশাপাশি রাজ্য সরকারও সমান ভাবে সঙ্ঘের পাশে থাকে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মমতা বলেছিলেন, ‘আমি রামকৃষ্ণ মিশন, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মতো প্রতিষ্ঠানগুলিকে শ্রদ্ধা করি। সম্মান করি। তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। কিন্তু, দু-একজন আছেন, যাঁরা রাজনীতি করছেন, তাঁরা ঠিক করছেন না। রাজনীতি করতে হলে বুকে দলীয় প্রতীক লাগিয়ে রাজনীতি করুন। প্রতিষ্ঠান ভাঙিয়ে নয়।’ মুলত ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার অধ্যক্ষ কার্তিক মহারাজকে (স্বামী প্রদীপ্তানন্দ) উদ্দ্যেশ্য এই মন্তব্য করেন মমতা। এই মন্তব্যকে ইস্যু করেই সরব হন প্রধানমন্ত্রীও। মুসলিম কট্টরপন্থীদের চাপে ভোট পাওয়ার লক্ষ্যে সাধু সন্তদের বদনাম করার অভিযোগও তুলেছেন মোদি। তবে এদিন দিলীপ মহারাজের বক্ত্যবে গেরুয়া শিবিরের তৃণমূলকে ‘হিন্দু বিরোধী’ প্রমান করার চক্রান্তে জল ঢালা হল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
আবার এদিন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ বলেন, বেলুড় মঠ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। এখানকার সন্ন্যাসীরা রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন না। এমনকী সন্ন্যাসীরা ভোটও দেন না। ভক্তরা কাকে ভোট দেবেন, সে বিষয়েও আমরা হস্তক্ষেপ করি না।
অন্যদিকে, নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টে আবেদন জানালেন কার্তিক মহারাজ। তিনি জানান, বেলডাঙার আশ্রম ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে, সোমবার এমনই হুমকি পেয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, হামলা হতে পারে বলে কানাঘুষোও শুনেছেন তাঁরা। আর তাতেই আশ্রমের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আইনজীবী মারফত নিরাপত্তা চেয়ে তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। তবে এদিন বসিরহাটের সভা থেকে মমতা বলেন, কোনও আশ্রমে গণ্ডগোল হয়েছে বা আক্রমণ হবে, এমন কোনও খবর আমার কাছে নেই। এই সবে আমাদের কেউই জড়িত নয়। আর যদি থাকে, তাহলে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরদিকে বিজেপির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার মমতার বিরুদ্ধে পথে নামছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগামী শুক্রবার শহরের গিরিশ অ্যাভিনিউ থেকে স্বামীজির জন্মভিটে পর্যন্ত খালি পায়ে ‘সাধু-সন্ত’দের মিছিল করাবে পরিষদ।