হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
বর্ষা এখনও আসেনি। তাই ভাগীরথী এখন অনেক শান্ত। কিন্তু, এবছরও পিছু ছাড়েনি ভাঙন আতঙ্ক। গত মে মাসে রেমালের ঝড়ে ভাঙন আতঙ্কেই রাত কাটিয়েছিলেন প্রায় চারটি গ্রামের কয়েকশো পরিবার। একটু একটু করে ধসছে ভাগীরথীর পাড়ের মাটি। নদী গিলছে চাষের জমি। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও রানাঘাট-১ ব্লকের তারাপুর পঞ্চায়েতে লিড পেয়েছে বিজেপি। দ্বিতীয়বার জয়লাভের পর হয়তো সাংসদ জগন্নাথবাবু একবার পা রাখবেন গ্রামে। এমনই আশায় রয়েছেন সুরেশনগর, ঝাউমহল, নীলনগরের বাসিন্দারা। তাঁদের কথায়, ২০২২ সালে ভাঙনের ভয়ঙ্কর সমস্যার কথা চিঠির মাধ্যমে সাংসদকে জানিয়েছিলাম। তার উত্তর পাইনি। জানি না, এবার আমাদের দুর্দশার কথা কেন্দ্রের কাছে তিনি তুলে ধরবেন কি না।
গ্রামবাসীদের মধ্যে বিষ্ণু মণ্ডল, প্রদীপ বিশ্বাস, গৌরী সরকার বলেন, বিজেপির থেকে নতুন করে আর কোনও প্রত্যাশা নেই। পঞ্চায়েত ও ব্লকস্তরের তৃণমূল কর্মীদের দুর্যোগের সময় অন্তত কাছে পাওয়া যায়। শুনেছি শান্তিপুরে ভাঙন ঠেকাতে সেখানকার বিধায়ক উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু, এখানে তো সেটাও হয়নি। দেখি এবার উপনির্বাচনে তৃণমূলের বিধায়ক এলে কিছু করতে পারেন কি না!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আড়াই মাসে প্রায় ছ’বিঘা জমি ভাগীরথীর গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। বেশিরভাগটাই চাষের জমি। মূলত বিভিন্ন ধরনের সব্জি, কলা ও শসা চাষ করেন গ্রামবাসীরা। জমি হারিয়ে গ্রামছাড়া হয়েছেন অনেকে। ১০০ দিনের কাজ হারিয়ে গ্রামের বহু যুবক কেরল, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের কাজে চলে গিয়েছেন। শুধু চাষের জমিই নয়, সুরেশনগর, ঝাউমহল গ্রামে ইতিপূর্বে ভিটেবাড়িও হারিয়েছেন অনেকে। ভাঙন ইস্যুকে সামনে রেখেই রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভার উপনির্বাচনে পালাবদলের গুঞ্জন শুরু হয়েছে গ্রামগুলিতে। রানাঘাট দক্ষিণের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী বলেন, রাজ্যের উপর দোষ ঠেলে এখানকার সাংসদ বরাবর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট পেয়ে এসেছেন। তিনি এবার জিতলেও এখানকার মানুষের জন্য কিছুই যে করবেন না, সেটা সময়ই প্রমাণ দেবে। গ্রামের বাসিন্দাদের দুর্দশার কথা বহু আগে থেকেই জানি। তাঁদের পাশে রয়েছি।
রানাঘাট কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, একাধিকবার পার্লামেন্টে নদী ভাঙন নিয়ে আমি সোচ্চার হয়েছি। রাজ্যকেও যৌথভাবে এগিয়ে আসতে হতো। তারা সদিচ্ছা দেখায়নি। অবশ্যই সাংসদ হিসেবে এবার আমি ভাঙন সমস্যার সুরাহা করব। • রানাঘাট দক্ষিণের তারাপুর এলাকার ভাঙন উপ নির্বাচনের ইস্যু।