আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মামলার বয়ান সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত মার্লিন ফিফথ অ্যাভিনিউ নামে একটি আবাসনে বসবাস শুরু করেন মোট ৩৩ জন আবাসিক। এরপর তাঁরা বিধান নগর পুরনিগমের কাছে মিউটেশন করার জন্য আবেদন করেন। তখন পুরসভা তাদের জানায়, দলিলে ফ্ল্যাটের দামের ওপর প্রতিটি মিউটেশনের জন্য ০.৮ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ নেওয়া হবে। পুরসভার এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই আবাসনের বাসিন্দা নবীন আগারওয়াল সহ ৩৩ জন আবাসিক। নবীনবাবু সহ বাকিদের দাবি ছিল, প্রায় দেড় কোটি টাকা দিয়ে ওই আবাসনে তিনি একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন। সেক্ষেত্রে পুরসভার দাবি অনুযায়ী, মিউটেশন করানোর জন্য তাঁকে ৩০০ টাকার সঙ্গেই আরও দেড় লক্ষ টাকা দিতে হবে। যা বেআইনি। আরেক মামলাকারী তথা হাইকোর্টের আইনজীবী অরিন্দম দাসের দাবি ছিল, গোটা রাজ্যেই ফ্ল্যাট বা বাড়ির মিউটেশনের জন্য পুরসভাগুলির ২০০ টাকা এবং প্রসেসিং ফি বাবদ ১০০ টাকা নেওয়ার কথা। রাজ্য সরকার ২০১৫ ও ২০২২ সালে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সব পুরসভাকে জানিয়ে দেয়, অর্থ দপ্তরের রুল ১২১ ধারা অনুযায়ী, কোনও পুরসভা মিউটেশন করার জন্য বাড়তি চার্জ নিতে পারবে না। কিন্তু কলকাতা কর্পোরেশন ছাড়া বিভিন্ন পুরসভা নিজের নিজের মতো করে সার্ভিস চার্জ বাবদ টাকা ধার্য করেছে।
এদিন, বিচারপতির চন্দর এজলাসে মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী আর্যক দত্ত যুক্তি দেন, এভাবে সার্ভিস চার্জ নেওয়ার মত কোনও আইনি সংস্থান পুরসভার কাছে নেই। এবিষয়ে রাজ্যের সুস্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। সার্ভিস চার্জ বাবদ লক্ষ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে নেওয়া হচ্ছে। পুরসভার তরফে আইনজীবী অবশ্য পুর আইন অনুযায়ী সার্ভিস চার্জ নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন।
কিন্তু সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি চন্দ নির্দেশে জানান, মিউটেশন বাবদ অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ নেওয়ার কোনও আইনি সংস্থান নেই। ফলে মিউটেশনের জন্য এভাবে বাড়তি সার্ভিস চার্জ নেওয়া যায় না। সেইসঙ্গে বিচারপতি নির্দেশে জানান, মামলাকারীরা মিউটেশনের জন্য পুর কমিশনারের কাছে নতুন করে আবেদন জানাবেন। আদালতের নির্দেশের কথা মাথায় রেখে আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবে পুরসভা। এদিকে, হাইকোর্টের এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে শুধু মামলাকারীরাই নন, পরবর্তীতে বহু মানুষ সুবিধা পাবেন বলে মনে করছে আইনি মহল।