আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাড়াও একজন শিক্ষিকা এবং একজন প্যারাটিচার রয়েছেন। অভিভাবকদের অভিযোগ, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছাত্রীদের নানাভাবে কটুক্তি করেন। ইচ্ছার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেন। প্রতিবাদ করলে ধমক দিয়ে চুপ করানো হয়। ভয়ে ছাত্রীরা বাড়িতে কেউ কিছু বলতে পারে না।
সম্প্রতি ওই শিক্ষক এক ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে অভিযোগ। ছাত্রীটি তার বাড়িতে বিষয়টি জানায়। কয়েকদিন আগে অভিভাবকরা বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকের কাছে জানতে চান। ওই শিক্ষক নিজের দোষ স্বীকার না করে অভিভাবকদের সঙ্গে বাজে ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগকারী জগন্নাথ ভাণ্ডারী, কান্ত ভাণ্ডারী বলেন, দু’বছর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করেছিলাম। তারপরে সব ঠিক হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি আবার অশালীন আচরণ শুরু করেছেন। এবারও আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানাই। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। তাই এদিন বাধ্য হয়ে আমরা শিক্ষককে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি। ওই শিক্ষককে অবিলম্বে বরখাস্ত করতে হবে। যতক্ষণ না শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে আমাদের আন্দোলন চলবে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নির্মলা ঘোষ বলেন, ছাত্রীরা কয়েকদিন আগে বিষয়টি আমাকে জানায়। আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। বিষয়টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকে মৌখিকভাবে জানিয়েছিলাম। বিদ্যালয়ের মধ্যে এমন ঘটনা সত্যি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। যদিও অভিযুক্ত টিআইসি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বলেন, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে।
নিতুড়িয়া চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক সাহেব জানা বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। তবে এক সহকর্মীর কাছ থেকে ফোন মারফত বিষয়টি জানতে পেরেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।