আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শুক্রবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালত ঘটনায় অভিযুক্ত মালু ওরাওঁ, সমা লোহার, ধন সিং এবং ফাগু সাহাসিকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনাল। এদিন অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট জাজ থার্ড কোর্ট বিপ্লব রায় এই সাজার নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই বর্তমানে ষাটোর্ধ্ব। এদিকে, অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী দ্যুতি রায় জানান, তাঁরা এই রায়ের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯০ সালে ১৭ মার্চ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের রায়পুর চা বাগানে। এদিন এই মামলার সরকারি আইনজীবী পার্থ চৌধুরী বলেন, কোনও একটি বিষয় নিয়ে সালিশি সভার জন্য ঘটনার দিন সকালে ওই বাগানের বাসিন্দা প্রাক্তন সেনাকর্মী মনবথ নায়েক এবং তাঁর ভাই চা শ্রমিক শিবনাথ নায়েককে ডেকে আনা হয়েছিল। বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে সালিশি সভা শুরু হওয়ার পরেই অভিযুক্তরা মনবথ নায়েকের গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ দিয়ে দেহ থেকে মাথা আলাদা করে দেয়। এই দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থল থেকে ভাই শিবনাথ নায়েক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাগানের কালীমন্দিরের সামনে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, মনবথ নায়েকের কাটা মাথা হাতে চা বাগান এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছিল মালু ওরাওঁ। মোট আটজনের নামে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মনবথ নায়েকের স্ত্রী কৌশল্যা নায়েক। পুলিস নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল। তবে অভিযুক্তদের আটজনের মধ্যে চারজন পালিয়ে গেলেও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিস।
আইনজীবী জানান, মামলা চলাকালীন এই চার অভিযুক্তকে আদালত জামিন দিয়েছিল। কিন্তু, সঠিকভাবে থানায় হাজিরা না দেওয়ায় আদালত ওয়ারেন্ট জারি করলে পুলিস তাদের ফের গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকে তারা জেলেই আছে। এই মামলায় সমস্ত তথ্য প্রমাণ এবং আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণের পর আদালত ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করে এদিন যাবজ্জীবনের সাজা শুনিয়েছে। এদিকে, আদালতের রায়ে খুশি মনবথ নায়েকের স্ত্রী কৌশল্যা। তিনি বলেন, দোষীদের শাস্তি হবে এই আশায় দীর্ঘ ৩৪ বছর অপেক্ষায় ছিলাম। অবশেষে বিচার পেলাম।