Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। আর জি কর ইস্যুতে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে করা দিলীপবাবুর এই মন্তব্যে স্পষ্ট, জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতি তুলে নেওয়ায় বিজেপি নেতৃত্ব বেজায় ক্ষুব্ধ। তাও সেটা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ময়নাতদন্তে বঙ্গ বিজেপি বুঝে গিয়েছে, ঐতিহাসিক গণআন্দোলনে তাদের নিট প্রাপ্তি শূন্য।
অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামতেই লোকসভা ভোটে তৃণমূলের কাছে ১২-২৯ গোলে নাস্তানাবুদ বঙ্গ বিজেপি বুকে পেয়েছিল হাতির বল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিজেপির ধর্নামঞ্চে হাজির হয়েছিলেন দলের সব গোষ্ঠীর নেতা। নির্বাচনের আগে অমিত শাহের এক হওয়ার হুইপেও বঙ্গ বিজেপির নেতাদের মধ্যে অটুট ছিল ‘সাপে-নেউলে’ সম্পর্ক। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে ‘অনুপ্রাণিত’ বিজেপি নেতারা বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ বানানোর অভিপ্রায়ে ধর্নামঞ্চে বসেছিলেন পাশাপাশি। এখন কি না সেই জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের বিরুদ্ধেই শুরু হয়েছে বিজেপির তোপ দাগা!
‘ঠোঁটকাটা’ হিসেবে দিলীপ ঘোষের সুনাম আছে যথেষ্ট। স্পষ্ট কথায় তাঁর কষ্ট নেই। তিনি একা জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুললে সেটা তাঁর ‘ব্যক্তিগত অভিমত’ বলে চালিয়ে দেওয়া যেত। কিন্তু বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দাও একই রাস্তায় হেঁটেছেন। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘স্বার্থপর আন্দোলন’ বলে কটাক্ষ করেছেন। অভয়ার জাস্টিসের জন্য নয়, চিকিৎসকদের নিজেদের দাবি আদায়ের লক্ষ্যেই এই আন্দোলন। 
কর্মবিরতি প্রত্যাহারের শর্তের তালিকা ক্রমশ লম্বা হওয়ায় অনেকেই চিকিৎসকদের আন্দোলনের পিছনে ‘রাজনীতি’র গন্ধ পেয়েছিলেন। কিন্তু এর আগে কেউই বিজেপি বিধায়কের মতো চিকিৎসকদের জাস্টিসের দাবিতে আন্দোলনকে ‘স্বার্থপর আন্দোলন’ বলে দাগিয়ে দেননি। গেরুয়া শিবিরের নেতাদের চোখা চোখা মন্তব্যে বোঝা যাচ্ছে, এই গণআন্দোলন থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তারা ঘরে তুলতে পারবে না। সেটা বুঝেই শুরু হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতি আক্রমণ। 
দিলীপবাবু আবার আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে বিদ্রূপ করেছেন। তাঁর মতো চাঁচাছোলা ভাষায় জুনিয়র ডাক্তারদের এমন আক্রমণ রাজ্যের শাসক দলের নেতারাও করেননি। দিলীপবাবু প্রশ্ন তুলেছেন, ‘মানুষ খেপিয়ে আন্দোলন করে কী লাভ হল? এত নাটক করে কী হল? ক’জন সাজা পেয়েছে? অনুব্রত মণ্ডলের মতো সন্দীপ ঘোষও ছাড়া পেয়ে যাবে।’ 
জুনিয়র ডাক্তারদের উপর ঝাল ঝাড়তে গিয়ে দিলীপবাবু কেন্দ্রীয় এজেন্সির দিকেই আঙুল তুলে বসেছেন। সিবিআই, ইডির বিরুদ্ধে এতদিন যেসব কথা কংগ্রেস ও তৃণমূলের নেতারা বলতেন এখন সেটাই বলছেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা। তিনিও প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি ‘রাজনৈতিক প্রভু’দের নির্দেশে শুধু ঝাল মেটাতে পারে, কিন্তু কাজের বেলায় অষ্টরম্ভা।
অনেকে অবশ্য বলছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে দিলীপবাবুদের রাগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আন্দোলন ‘হাইজ্যাক’ করতে গিয়ে বিজেপি নেতানেত্রীরা রীতিমতো ‘ঘাড়ধাক্কা’ খেয়েছেন, ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও শুনেছেন। সেটাও তাঁরা মেনে নিতেন যদি তাঁদের ‘দফা এক দাবি এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’ স্লোগানটা একটিবারের জন্যও আন্দোলন মঞ্চে উচ্চারিত হতো। কিন্তু হয়নি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা আর জি কর কাণ্ডে প্রশাসন ও সরকারকে তুলোধোনা করেছেন। নানান ত্রুটির দিকে আঙুল তুলেছেন। কিন্তু কখনওই স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেননি। আর সেটা বিজেপির প্রত্যাশার বাড়া ভাতে ছাই ফেলার জন্য যথেষ্ট। সেইজন্যই তো দিলীপবাবুর প্রশ্ন, কেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ হবে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিসমন্ত্রী। তাঁর কোনও সাজা হবে না কেন? ডাক্তাররা তো সরকারের বিরুদ্ধে কিছুই বলছে না।
গণআন্দোলনের পোস্টমর্টেম করতে গিয়ে বিজেপি নেতারা বুঝেছেন, চিকিৎসকদের মূল ক্ষোভটা ‘সিস্টেমে’র বিরুদ্ধে। তাঁরা সিস্টেমের বদল চেয়েছেন, সরকারের নয়। আর দাবি পূরণের জন্য তাঁরা বারবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই বৈঠক করতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাননি। এমনকী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদক্ষেপেই তাঁরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। তারউপর সিজিও কমপ্লেক্সে অভিযান করে জুনিয়র ডাক্তাররা বুঝিয়ে দিয়েছেন, অভয়ার জাস্টিস দেওয়ার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির। তদন্তের খাতিরে সিবিআই যাকে খুশি যখন ইচ্ছা ডাকতেই পারে। তা নিয়ে নানান সম্ভাবনা ও আশঙ্কার নিত্যনতুন গল্প ডানা মেলতেই পারে। কিন্তু শেষপর্যন্ত অঙ্কটা কেন্দ্রীয় এজেন্সিকেই মেলাতে হবে। আর এই তদন্তের ‘প্রধান পরীক্ষক’ সুপ্রিম কোর্ট। সেখানে গোঁজামিল দিয়ে উত্তর মেলানোর চান্স নেই। 
অনেকে মনে করছেন, রাজনীতির সমীকরণ বদলে যাওয়ার সম্ভাবনাই বঙ্গ বিজেপিকে ভাবিয়ে তুলেছে। অভয়ার জাস্টিসের দাবিতে বাংলা এককাট্টা। তবে, গণআন্দোলনে আলোড়িত হয়েছে মূলত কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন শহর এলাকা। আন্দোলনে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। কিন্তু তাদের একত্রিত করার কাজটা করেছে বাম ও অতিবামেরা। কোথাও কোথাও এসইউসি। ফলে বাম কর্মী সমর্থকরা অনেকটাই উজ্জীবিত। বিজেপির ভয়টা সেখানেই। 
লোকসভা নির্বাচনে অধিকাংশ শহরেই তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি। সিপিএম-কংগ্রেস জোটের ভোট একেবারে তলানিতে। এখন গণআন্দোলনের প্রভাবে রামে যাওয়া ভোট বামে ফিরলেই বিজেপির বিপদ। আর তাতে আখেরে লাভ হবে তৃণমূলের। পুজোর মরশুম শেষ হলেই এরাজ্যের ছ’টি বিধানসভার উপনির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়বে। সেই ভোটেই বোঝা যাবে, অভয়ার মৃত্যুকে সামনে রেখে রাজনীতির কারবারিরা পরিকল্পিতভাবে বাংলার গায়ে কালি লাগানোর যে চেষ্টা চালিয়েছে, সেটা মানুষ কতটা খেয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই আন্দোলনে সরকার সমালোচিত হলেও ভোটের অঙ্কে শাসক দলের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। কর্মবিরতি প্রত্যাহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী বারবার অনুরোধ করলেও বিরোধীরা চিকিৎসকদের কাজ না করার পক্ষেই ছিল। কর্মবিরতিতে প্রায় প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। তাতে প্রচণ্ড দুর্ভোগের শিকার হয়েছে গরিব মানুষ। অনেকে চিকিৎসা না পেয়ে মারা গিয়েছেন। সেই অবস্থায় চিকিৎসকদের আন্দোলনকে মুখ্যমন্ত্রী সমর্থন করেও স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার সবরকম চেষ্টা চালিয়ে ছিলেন। অপমান সহ্য করেও সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করেছেন এবং পেরেছেন। তাতে হয়তো ‘মমতা হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান ওঠেনি, কিন্তু তাঁকে ঘিরে গরিব মানুষের আস্থা ও ভরসা আরও দৃঢ় হয়েছে। 
এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির পাখির চোখ ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপি বুঝেছে, আর জি কর ইস্যুতে গোটা দেশের সামনে বাংলাকে হেয় প্রতিপন্ন করা গেলেও ভোটে ফায়দা উঠবে না। তাই তারা অন্য ইস্যুতে দ্রুত শিফ্ট করতে চাইছে। বিজেপি এমন কিছু ইস্যু ধরতে চাইছে যেটা তাদের রাজনৈতিক জমি শক্তি করবে। সেই লক্ষ্যেই তারা শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টিকে ফের সামনে আনতে চাইছে। তাদের বিশ্বাস, এই ইস্যুটা কাজে লাগাতে পারলে যুবসমাজের একটা অংশকে তারা পাশে পাবে।
বিজেপির অনেকের মতে, আর জি কর ‘ডেড’ ইস্যু। তাদের বক্তব্য, এখন যেসব দাবি জুনিয়র ডাক্তাররা তুলছেন তারসঙ্গে সাধারণ মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই।  সেগুলি একান্তই তাঁদের চাওয়াপাওয়া ও ক্ষমতা দখলের বিষয়। কারা মেডিক্যাল কলেজ নিয়ন্ত্রণ করবে, কোন গোষ্ঠী আইএমএ দখল করবে, কারা মেডিক্যাল কাউন্সিলে যাবে, সেই নিয়েই চলছে লড়াই। লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য অনেক চিকিৎসক সংবাদমাধ্যমে ট্রেড ইউনিয়ন নেতার মতো বক্তব্য রাখছেন। ‘সার্ভিস রুলে’র তোয়াক্কা করছেন না। উদ্দেশ্য স্পষ্ট, সরকার ব্যবস্থা নিক। তারপর তাকে সামনে রেখে ফের শুরু হবে আন্দোলন। তাতে লাভবান হবে বামেরা। তাই বিজেপি সাধারণ মানুষের সমর্থন পাওয়া যাবে, এমন আন্দোলনে মন দিতে চাইছে।
এখানে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নটা হল, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে বিজেপির কি কোনও লাভ হয়নি? তাদের প্রাপ্তি কি সত্যিই একেবারে শূন্য? উত্তরটা হল, না। কেননা আর জি কর কাণ্ড ঢেকে দিয়েছে কেন্দ্রের নিট কেলেঙ্কারির কলঙ্ক। অভয়ার জাস্টিসের দাবির নীচে চাপা পড়ে গিয়েছে সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষার পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতি। তাই আর জি কর ইস্যুতে বঙ্গ বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য হলেও দিল্লি বিজেপির ফায়দা ষোলোআনা।
কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
এখন মণিপুর যেন চাঁদের অন্ধকার দিক!
পি চিদম্বরম

মণিপুর নিয়ে বার বার লিখিনি। আমার সাপ্তাহিক কলামের পাতা ওল্টাতে বসেই খেয়াল করলাম ব্যাপারটা। এজন্য এখন নিজেকেই তিরস্কার করছি। মণিপুর নিয়ে শেষবার লিখেছিলাম গতবছরের ৩০ জুলাই। অর্থাৎ তারপর ১৩টি মাস পেরিয়ে গিয়েছে! তাই নিজেকেই ক্ষমার অযোগ্য মনে হচ্ছে।
বিশদ

16th  September, 2024
একনজরে
পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসকের দায়িত্ব নিলেন আয়েশা রানি এ। তিনি মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ...

গার্ডেন সিটির কান্তিরাভা স্টেডিয়াম মোহন বাগানের মৃগয়াক্ষেত্র। ২০১৫ সালে প্রথম আই লিগ জয়ও বেঙ্গালুরুতে। গত আইএসএলে এই মাঠে  প্রতিপক্ষের উপর রোলার চালিয়ে দেন সাদিকু, পেত্রাতোসরা। ...

এক গোছায় ৫০টি পান বিক্রি করার নির্দেশ ছিল। অভিযোগ, তারপরও সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। আড়তদাররা অনেক বেশি পান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অথচ সেই তুলনায় দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ...

ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফিরেছিলেন বৃদ্ধা। কিন্তু বাড়ি ফিরে খুঁজে পাচ্ছিলেন না ব্যাগে থাকা চার লক্ষ টাকা। শেষ সহায় ওই টাকা হারিয়ে অথৈ জলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু

27th  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১১০.২৬ টাকা ১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো ৯১.৭১ টাকা ৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী ২৩/১৮ দিবা ২/৫০। অশ্লেষা নক্ষত্র ৫৫/১৮ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩০/৪৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী অপরাহ্ন ৪/৫৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৭ মধ্যে ও ৪/০ গতে ৫/৩১ মধ্যে। 
২৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সুনীতা উইলিয়ামসকে পৃথিবীতে ফেরাতে রওনা দিল নাসার বিশেষ মহাকাশযান

11:45:00 PM

আইপিএলেও ম্যাচ ফি পাবেন ক্রিকেটাররা, ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
দেশের হয়ে ম্যাচ খেললে যেমন ফি দেওয়া হয় সেই নিয়ম ...বিশদ

11:18:44 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পুলিস, জখম ১

11:07:44 PM

তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে উদয়নিধি
জল্পনাই সত্যি হল। পুত্র তথা ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধিকে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে ...বিশদ

11:02:30 PM

দল ঘোষণা করল ভারত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। আজ, শনিবার তারই ...বিশদ

10:56:07 PM

বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার অপরাধে ছেলেকে পিটিয়ে খুন বাবার!
আলমারিতে রাখা ৫০০ টাকা খুঁজে না পেয়ে নিজের ছেলেকে সন্দেহ ...বিশদ

09:52:56 PM