আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
স্রেফ তৃণমূলই নয়। এদিন সাংসদদের শপথ অনুষ্ঠানে মণিপুর ইস্যুতেও সরকারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। মণিপুরের দুটি আসনেই এবার জিতেছে কংগ্রেস। রাজ্যের দুই সাংসদ আনগমচা বিমল আকোইজম এবং আলফ্রেড খনগাম এস আর্থার শপথ গ্রহণ শেষে মণিপুরের অবস্থা নিয়ে সরব হন। খনগম বলেন, মণিপুর কো ন্যায় দিলাইয়ে। দেশ বাঁচাইয়ে। মণিপুরের দুই সাংসদ শপথ নিতে উঠতেই বিজেপিকে কোণঠাসা করতে বিরোধী এমপিরা স্লোগান তোলেন, ‘মণিপুর,মণিপুর’।
এদিকে, এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলের অধিকাংশ এমপিই শপথ নেন বাংলায়। শেষে চলে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানও। মহুয়া মৈত্র, সৌগত রায়ের মতো এমপিরা জয় বাংলার সঙ্গে জোড়েন জয় হিন্দ এবং জয় সংবিধান। তবে ব্যতিক্রমী শোনায় অধীররঞ্জন চৌধুরীকে হারানো বহরমপুরের তৃণমূল এমপি ইউসুফ পাঠানের গলায়। তিনি শপথ বাক্য পাঠ শেষে জয় হিন্দ, জয় বাংলার সঙ্গে জোড়েন জয় গুজরাত। বাঁকুড়ার এমপি অরূপ চক্রবর্তী আবার শপথ গ্রহণে জোরে জোরে শুনিয়ে দেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ভোটে জিতেছি। ঝাড়গ্রামের এমপি কালীপদ সোরেন শপথ নেন সাঁওতালি ভাষায়।
পুরনো সংসদ ভবনে দলের অফিস ঘরে তৃণমূল এমপিরা একজোট হয়ে আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপর একসঙ্গে নতুন ভবনে যান শপথ নিতে। সংসদের মকর দুয়ার দিয়ে উঠে তোলেন গ্রুপ ছবি। আর তখনই সেখানে কয়েক মুহূর্তের জন্য দেখা যায় উল্লেখযোগ্য দৃশ্য। উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলির এমপি হিসেবে শপথ নিতে তখন একই সিঁড়ি দিয়ে সদনে উঠছেন রাহুল গান্ধী। তৃণমূল এমপিদের মধ্যমণি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই সৌজন্য বিনিময় করে বলেন, হ্যালো। হাউ আর ইউ? অভিষেক জানান, ফাইন। উল্লেখ্য, এদিন তিন তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল, দেব ও শত্রুঘ্ন সিনহা শপথ নেননি।