আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মৃতের প্রতিবেশী ও আত্মীয় ভারতী অধিকারী, জল্পেশ মণ্ডল, রাকেশ অধিকারী বলেন, মিঠুন সেন দিগল বাজার বাঁধের ধারে পার্টি অফিস বানিয়েছে। ওখানে কোনও তৃণমূল নেতাদের কখনও দেখিনি। মিঠুন ওই পার্টি অফিসে এলাকার ছেলেদের ডেকে নিয়ে যায়। বাজার এলাকায় তোলাবাজি করে, মদের আসর বসায়। যারজন্য ক’দিন ধরেই স্থানীয় মানুষ মিঠুনের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে। তারই বহিঃপ্রকাশ পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনা।
যদিও দলীয় অফিস ভাঙচুর, যুব তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বরূপ মণ্ডল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কারও বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ, অভিযোগ থাকতেই পারে। কিন্তু তারজন্য পার্টি অফিস ভাঙচুরের মতো ঘটনা ঠিক নয়। ঘটনার নিন্দা করছি। এর পিছনে প্ররোচনা থাকতে পারে বলে মনে করছি।
যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সন্দীপ ছেত্রী বলেন, জেলার দায়িত্ব আমি পেলেও এখনও আমাদের কমিটি গঠন হয়নি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমি চিনিও না তাঁকে। খোঁজ নেব। তবে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। মিঠুন সেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে কারও অভিযোগ থাকলে প্রমাণ দিক। রাতের ওই ঘটনা বিজেপির প্ররোচনাতেই হয়েছে। যদিও জেলা বিজেপি অন্যতম সাধারণ সম্পাদক শ্যাম প্রসাদ বলেন, ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে বিজেপি নয়, তৃণমূলের লোকজনরাই যুক্ত। তাঁরাও বিরক্ত। জেলার এক প্রথম সারির যুব নেতার ঘনিষ্ঠ ওই নেতা বাঁধের উপর পার্টি অফিস বানিয়েছেন। সেখানে নেশার আসর বসান। মানুষ তাঁর উপর দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ। যারজন্য সাধারণ মানুষের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ওই ঘটনা। ওই নেশার আসর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় একজন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মারা যান। তাই মানুষ ওই পার্টি অফিসে চড়াও হয়েছে।
এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিস সুপার খণ্ডবাহলে উমেশ গণপত বলেন, ওটা কোনও অনুমোদিত পার্টি অফিস নয়। কি কারণে, কেন ঘটনা ঘটেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিস এলাকায় আছে। ভাঙচুরের ঘটনা নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে।