Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস। গেরুয়া মুখপত্র ‘স্বস্তিকা’য় রাজ্যের নির্বাচনী ফল নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। সেই নিবন্ধে রাজ্যে বিজেপির লজ্জাজনক হার নিয়ে গেরুয়া নেতাদের একটু শান্তিপুরী ধোলাই দেওয়া হয়েছে। সেখানে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, মমতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো কোনও নেতা এখনও রাজ্য বিজেপিতে তৈরি হয়নি।  অপদার্থ নেতাদের জন্যই দলের ভরাডুবি হয়েছে। তৃণমূল যেখানে আড়াই শতাংশ ভোট বাড়াতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে বিজেপির ভোট কমে গিয়েছে দেড় শতাংশ। এর কারণ রাজ্য বিজেপিতে কোনও যথার্থ এবং গ্রহণযোগ্য নেতা নেই। তাই পরপর কয়েকটা ভোটে এরাজ্যে বিজেপি সেভাবে কিছুই করতে পারেনি। আগামী ২০২৬-এ বিজেপির শেষ অ্যাসিড টেস্ট। অর্থাৎ প্রকারান্তরে ওই নিবন্ধে বলা হয়েছে, দু’বছর পরের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এরাজ্যে হয় ঘুরে দাঁড়াবে, নাহলে ফিনিশ হয়ে যাবে।   
ওই নিবন্ধে আরও বলা হয়েছে, এ রাজ্যে আসলে পজিটিভ ভোটই হয়েছে। মানুষ মমতাকেই ভোট দিয়েছেন। মানুষ দুর্বল সংগঠন বিজেপির ওপর ভরসা রাখতে পারেননি। তাছাড়া প্রার্থী নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দলকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ভুলভাল প্রার্থী বেছে নেওয়ার জন্যও বিজেপিকে চরম মূল্য দিতে হয়েছে। এখনও মানুষ বিশ্বাস করেন, রাজ্যে বিজেপিকে ঠেকাতে গেলে তৃণমূলকেই ভোট দিতে হবে। সিপিএম বা কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে মানুষ তাঁদের ভোট নষ্ট করতে চাননি। তাই ছ’টা সিট হারাতে হয়েছে বিজেপিকে। 
অর্থাৎ আরএসএস রাখঢাক না করে সোজা তিরটি মেরেছে। যাকে বলে বুলস আইয়ে হিট করেছে তির। রাজ্য শীর্ষ নেতৃত্বের অপদার্থতাকে বেশ মোলায়েম ভাবেই ধোলাই করা হয়েছে আরএসএসের মুখপত্রে। রাজ্যের তেলেঝোলে থাকা নেয়াপাতি মার্কা নেতাদের দিয়ে যে এরাজ্যে বিজেপি কোনও লড়াই করতে পারবে না, তা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় প্রকাশ করা হয়েছে। আরএসএস দীর্ঘদিন ধরেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপির কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ। সঙ্ঘ পরিবারের শিকড়কে অস্বীকার করে মোদিবাহিনীর লাটসাহেবি মেজাজকে মোটেই তোয়াক্কা করছেন না সঙ্ঘ নেতারা।  এতদিন মোদির প্রভাবের রমরমা দেখে তাঁরা চুপ থেকেছেন। এখন মোদির জনপ্রিয়তা ক্রমেই খাদের দিকে গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে মুখ খুলেছে আরএসএস। কিছুদিন আগেই মোদিকে লক্ষ্য করে সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেছিলেন, ‘একজন সঙ্ঘ সদস্যের মধ্যে কখনওই ঔদ্ধত্য থাকতে পারে না। সকলকে নিয়ে চলাটাই গণতন্ত্রের লক্ষণ।’ সম্প্রতি সঙ্ঘের নিজস্ব পত্রিকা ‘অর্গানাইজার’-এ একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার লেখক রতন সারদা। তিনি লিখেছেন, ‘দেশে ৫৪৩ আসনেই মোদির নামে ভোট করাটা আত্মহননের শামিল হয়েছে। লড়াইয়ের ময়দানে শুধু আত্মপ্রচার করে ভোটে জেতা যায় না। মোদির অলৌকিক শক্তির বুদ্বুদে মোহগ্রস্ত হয়েই দলের পতন হয়েছে। অহং-মত্ত কোনও নেতাই মানুষের প্রকৃত কণ্ঠস্বর শুনতে পাননি।’ বিরোধীদের মতো দীর্ঘদিন ধরে মোদির ঔদ্ধত্য হজম করতে হয়েছে আরএসএসকেও। এখন তাদের পাল্টা জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। ভারতীয় গণতন্ত্র বুঝিয়ে দিয়েছে, এখানে অবতার সাজার চেষ্টা করলে মানুষ তাঁকে নামিয়ে আনবেন জনতার ভিড়ে।  
কিন্তু তৃতীয়বারের জন্য কোনওরকমে ক্ষমতায় এসে বিজেপি যত বড় হাবভাব দেখাক না কেন, ভিতরে ভিতরে তারা অর্ধমৃত হয়ে রয়েছে।  এভাবেই এখন প্রতি মুহূর্তে সঙ্ঘ পরিবার মোদি অ্যান্ড কোম্পানির আত্মম্ভরিতায় আঘাত হানবে। বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত আরএসএসের মুখপত্রে দলের নেতাদের সবক শেখানো হচ্ছে। প্রতিটি বাক্য আর শব্দের মধ্য থেকে উঠে আসছে চাবুকের সপাং সপাং শব্দ। সেই শব্দ শুনতে পাচ্ছেন দেশের মানুষও।
শুধু তো মুখপত্রে নয়, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যেও তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ দেখা যাচ্ছে। এরাজ্যে নিচুতলার কর্মী, যাঁরা আবেগ দিয়ে, ভালোবাসা দিয়ে দলের জন্য ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁরাও আজ উপরতলার গাবলু মার্কা নেতাদের দিকে আঙুল তুলে বলছেন, আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তাঁরা অনেকেই এখন নির্বাচনের জন্য আসা টাকা তছরূপ করার অভিযোগ তুলছেন নেতাদের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ নির্বাচনের প্রচারের জন্য এরাজ্যে বিজেপি পাঠিয়েছে শত শত কোটি টাকা। সেই টাকা কোথায়, কীভাবে খরচ হয়েছে, কারা খরচ করেছেন, তার কোনও হিসেবই নেই। বহু প্রার্থীও বলছেন, ‘যে টাকা আমাদের প্রচারের জন্য এসেছে, আমরাও সেই টাকার মুখ দেখিনি। কারা সেই টাকা খরচ করলেন, তাও জানি না। সেই টাকার হিসেব চাই।’ ভোট প্রচারের অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলছেন বিজেপির বহু নেতাই। কিন্তু উপর মহল থেকে কোনও উত্তর নেই। নির্বাচনী প্রচারে যাঁরা তৃণমূলকে লক্ষ্য করে ‘চোর চোর’ বলে চেঁচাতেন, তাঁরা আখের গুছিয়ে এখন ঘরে ঢুকে পড়েছেন।  মুখে তাঁদের আর কোনও কথা নেই। সব জেনেও জাতীয় নেতৃত্বও এবিষয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। প্রথমত এই টাকা নির্বাচনী তহবিল থেকে আসা হয়তো তোলাবাজির টাকা। তাই ‘কেলেঙ্কারি’র তদন্তে তারা বিশেষ আগ্রহী নয়। তাছাড়া তদন্তে কেউটে বেরিয়ে পড়লে মুখ পুড়বে বহু তেল চুকচুকে নেতার। তাই ভোটের পর হাওয়া ঘোরানোর চেষ্টা করছে রাজ্য বিজেপি। এখন ওদের সবথেকে বড় গলাবাজি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে। ‘সন্ত্রাস সন্ত্রাস’ বলে বাজার গরম করা ছাড়া এখন বিজেপি নেতাদের আর কোনও কাজ নেই। নির্বাচনে রাজ্যে হারের পর পুরো দলটাই এখন ছত্রভঙ্গ। 
মোদিজি ওদিকে ক্ষমতায় বসেও স্বস্তিতে নেই। তিনি ভালো করেই জানেন, চন্দ্রবাবু ও নীতীশ কুমারের ঠেকনায় প্রধানমন্ত্রী হলেও যেকোনও সময় চিৎপটাং হয়ে যেতে পারেন। সংসদে প্রথম দিনেই মোদির অসহায় ছবিটা বারবার ধরা পড়েছে। তিনি ভালো করেই জানেন, বিজেপি ২৪০ হলেও বিরোধীরা সংখ্যায় ২৩৭। একটা সুতোর ওপর ঝুলছে তাঁর ক্ষমতার ‘লাড্ডু’। সংসদ অধিবেশনের প্রতিদিন বিজেপিকে নানা বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হবে। চাপের মুখে মোদির পক্ষে সংসদ চালানোই কঠিন হতে পারে। 
ঠিক সেখান থেকেই মো-শা জুটির প্রথম রণকৌশল, বিজেপির কোনও সাংসদকে স্পিকার পদে বসানো। এরমধ্যে সবথেকে বিশ্বস্ত ওম বিড়লা। আগের সংসদে তিনি ভালোই সার্ভিস দিয়েছেন। তাই এবারও মোদিরা তাঁকেই চাইছেন। কেননা সংসদে স্পিকার হলেন আম্পায়ার। তাঁরই নির্দেশে সংসদ চলে। এখানে কোনও থার্ড আম্পায়ার বা রিভিউ নেই। তাই নানাভাবে চন্দ্রবাবু এবং নীতীশ কুমারকে ছেলেভুলানোর খেলা চলছে। বহুমূল্যের খেলনা দিয়ে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা চলছে বলে দিল্লির রাজনৈতিক মহলের খবর।  
এখন সংসদের তপ্ত পরিবেশ কোনদিকে গড়ায়, তার দিকেই নজর রাখছে বিজেপি। নিট কেলেঙ্কারি, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিরোধী আক্রমণের প্রহর গুনছে বিজেপি। এই কেলেঙ্কারির অন্যতম পান্ডা গুজরাতের বিনীত আর্য ধরা পড়ার আগেই বিদেশে পালিয়েছেন। আমরা এর আগে দেখেছি নীরব মোদি সহ বেশ কিছু গুজরাতি ব্যাঙ্ক লুট করে মোদির আমলে বিদেশে পালিয়েছিলেন। ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’র কমেডি শো এভাবেই চলে আসছে। এরই মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো আছড়ে পড়ল আর এক কেলেঙ্কারি। সেটা হল রামমন্দির কেলেঙ্কারি। ১৮০০ কোটি টাকায় নির্মিত রামমন্দির নির্মাণে প্রচুর গলদ ধরা পড়েছে। বছরের প্রথম বর্ষণেই ভেসে গেল রামমন্দির। রামচন্দ্র ১৪ বছরের বনবাসকালে যেভাবে বৃষ্টিতে ভিজতেন, সেভাবেই ভিজলেন সুরম্য, ব্যয়বহুল মন্দিরের ভিতরেও। গর্ভগৃহের ছাদ থেকে ঝরঝর করে পড়ল জল। একেই অযোধ্যা সহ প্রতিটি রাম-বলয়ে পরাজিত হয়েছে বিজেপি।  এবার রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে আর একবার মুখ পুড়ল তাদের। রামমন্দিরের বিজ্ঞাপন করে বিজেপি ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসেনি। এখন মন্দির নির্মাণে টাকা তছরূপের অভিযোগও উঠতে শুরু করেছে। অযোধ্যার মানুষ বলছেন, ‘হায় রাম! তোমার মন্দির নির্মাণ থেকেও টাকা চুরি! কার পকেটে গেল রে বাবা!’ 
সুতরাং মোদির সুখের দিন যে সমাপ্ত, তা বোঝাই যাচ্ছে। এখন ক্ষমতা যে কণ্টকশয্যার শামিল, সেটাও তিনি মালুম পাবেন। তাঁর লড়াইটা এখন ঘরে ও বাইরে। আগামী বছর আরএসএসের শতবর্ষ। সেই অনুষ্ঠান দেশে বড় করেই পালিত হবে। এই একবছরে উদভ্রান্ত মোদিকে লাগাম পরাতে তৎপর আরএসএস। মোদিও জানেন, তিনি এখন কাদায় পড়েছেন। তাই চুপ করে মেনে নেবেন নীতীশ, চন্দ্রবাবুর আবদার, মেনে নেবেন আরএসএসের শাসন। এই নার্ভের লড়াই চলবে। কিন্তু মোদি এবং অমিত শাহ জুটি বারবার চেষ্টা করবেন, সুযোগ পেলেই উল্টো চাল মেরে সবাইকে মাত করে আবার স্বমেজাজে ফিরে আসা। তারও সলতে পাকানোর চেষ্টা চলছে।
26th  June, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
একনজরে
এক গোছায় ৫০টি পান বিক্রি করার নির্দেশ ছিল। অভিযোগ, তারপরও সেই নির্দেশ মানা হচ্ছে না। আড়তদাররা অনেক বেশি পান কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অথচ সেই তুলনায় দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। ...

গার্ডেন সিটির কান্তিরাভা স্টেডিয়াম মোহন বাগানের মৃগয়াক্ষেত্র। ২০১৫ সালে প্রথম আই লিগ জয়ও বেঙ্গালুরুতে। গত আইএসএলে এই মাঠে  প্রতিপক্ষের উপর রোলার চালিয়ে দেন সাদিকু, পেত্রাতোসরা। ...

পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসকের দায়িত্ব নিলেন আয়েশা রানি এ। তিনি মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় বেশ কিছুদিন পরে প্রচারে নামেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ব্যবধান কমিয়ে এনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে জোর টক্কর দিচ্ছেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু

27th  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১১০.২৬ টাকা ১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো ৯১.৭১ টাকা ৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী ২৩/১৮ দিবা ২/৫০। অশ্লেষা নক্ষত্র ৫৫/১৮ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩০/৪৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী অপরাহ্ন ৪/৫৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৭ মধ্যে ও ৪/০ গতে ৫/৩১ মধ্যে। 
২৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সুনীতা উইলিয়ামসকে পৃথিবীতে ফেরাতে রওনা দিল নাসার বিশেষ মহাকাশযান

11:45:00 PM

আইপিএলেও ম্যাচ ফি পাবেন ক্রিকেটাররা, ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
দেশের হয়ে ম্যাচ খেললে যেমন ফি দেওয়া হয় সেই নিয়ম ...বিশদ

11:18:44 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পুলিস, জখম ১

11:07:44 PM

তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে উদয়নিধি
জল্পনাই সত্যি হল। পুত্র তথা ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধিকে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে ...বিশদ

11:02:30 PM

দল ঘোষণা করল ভারত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। আজ, শনিবার তারই ...বিশদ

10:56:07 PM

বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার অপরাধে ছেলেকে পিটিয়ে খুন বাবার!
আলমারিতে রাখা ৫০০ টাকা খুঁজে না পেয়ে নিজের ছেলেকে সন্দেহ ...বিশদ

09:52:56 PM