আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ভুক্তভোগী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, হৃষিকেশ থেকেই হাওড়াগামী ডাউন দুন এক্সপ্রেসে উঠেছিল কেদারনাথ ফেরত পর্যটকদের দলটি। ট্রেন যখন বিহার দিয়ে আসছিল, সেই সময় কোনও একটি স্টেশনে আচমকা কয়েকজন উঠে সংরক্ষিত আসন দখলের চেষ্টা করে। তাদের কাছে কোনও টিকিট না থাকা সত্ত্বেও রীতিমতো গাজোয়ারি শুরু করে তারা। কয়েকজন যাত্রী প্রতিবাদ করলে আক্রান্ত হন। কামরার মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ ধরে এই কাণ্ড চললেও রেল পুলিসের দেখা পাওয়া যায়নি। বিশ্বজিৎ ভট্ট নামে এক জখম যাত্রীর মাথায় ব্যান্ডেজ করতে হয়। তিনি বলেন, ‘ট্রেনে উঠেই ওরা কয়েকজন ক্রমাগত আমাদের হুমকি দিতে থাকে। বলে, আমাদের সংরক্ষিত আসন তাদের জন্য ছেড়ে দিতে হবে। আমরা ওদের কথা না শুনে বসে থাকি। কিছুক্ষণ পরে আসে কুদরা স্টেশন। সেখানে ট্রেন থামতেই কয়েকজন ছুরি, লাঠি নিয়ে হামলা চালায় আমাদের উপর। আমাদের সবাইকেই বেধড়ক মারধর করা হয়। সঙ্গে থাকা ছ’বছরের শিশুকেও ছাড়েনি ওরা। এমনকী ট্রেনের মধ্যেও তারা ভাঙচুর চালায়। ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। বিশ্বজিৎবাবু আরও বলেন, ‘এই তাণ্ডবের ঘটনা আমরা রেলের নিরাপত্তাকর্মীদের জানাই। কিন্তু কোনওরকম সহায়তা পাইনি তখন। আমরা এক দুষ্কৃতীকে আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিসই বরং তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যায়।’
জখম যাত্রীরা হাওড়া স্টেশনে নামার পর তারা জিআরপির কাছে অভিযোগ জানাতে যান। স্টেশনেই তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে পূর্ব-মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বলেন, ‘এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে রেলের তরফে তদন্ত করা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’