হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
বাসিন্দাদের আশঙ্কা, প্রশাসন চোখ বন্ধ করে রাখলে প্লাবনে এলাকা ভেসে যেতে আর বেশিদিন নেই। কুমারগঞ্জ, পতিরাম, বালুরঘাট সহ নানা জায়গায় আত্রেয়ীর পলি মাটি কেটে পাচার শুরু হয়েছে। পাগলিগঞ্জ এলাকায় নদীর ধারে ট্রাক্টর নামিয়ে দিনেও চলছে মাটি তোলা। সেতুর কাছে ফরেস্টে মাফিয়ারা ঘাঁটি গেড়ে বালি ও মাটি তুলছে। দিনে এমন অবৈধ কাজ চললেও প্রশাসনের হেলদোল নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (এলআর) হারিশ রসিদ বলেন, জেলাজুড়ে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। অনেক ট্রাক্টর আটক করে জরিমানাও করা হয়েছে। কোথাও অভিযোগ এলে আমাদের টিম অভিযান চালায়।
পাগলিগঞ্জের এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন বালি মাফিয়ারা পাগলিগঞ্জ সেতুর কাছাকাছি জায়গায় বালি তুলছে। ফরেস্টের কাছে ট্রাক্টর নামানোর রাস্তা বানিয়েছে। পাড় থেকে এভাবে মাটি তুলতে থাকলে বর্ষায় বন্যা হবে। ভবিষ্যতে ব্রিজের ক্ষতি হতে পারে। প্রশাসন কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, বুঝতে পারছি না। বাসিন্দারা প্রতিবাদ করতে ভয় পান, কারণ পাচারকারীদের প্রভাবশালীরা মদত দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের পাগলিগঞ্জ সেতু পার হলেই খাসপুর এলাকা। সেখানে রয়েছে ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল। বালি ও মাটি তুলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলি খাসপুরের ওই রাস্তাগুলি দিয়ে যাতায়াত করে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ওই ট্রাক্টরগুলি দুর্ঘটনাও ঘটিয়েছে। এদিকে ট্রাক্টরের চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও থাকে না। বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, রাস্তার মোড়ে মোড়ে ইনফর্মারদের রাখা হচ্ছে। ফলে প্রশাসনের গাড়ি অভিযান চালানোর আগেই খবর চলে যায় পাচারকারীদের কাছে।
বালুরঘাটের বোয়ালদার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীপক মাহাতো বলেন, আমাদের কাছেও পাগলিগঞ্জ এলাকায় মাটি ও বালি তোলার অভিযোগ আসছে। এই অবৈধ কাজ রুখতে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দিয়েছেন। আমরা চাই প্রশাসনও কড়া পদক্ষেপ নিক।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও পাচার বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের পদক্ষেপ দাবি করছে।