হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ১৩ এপ্রিল জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে নিয়ে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিই। সেদিনই ঠাকুর মদনমোহনের সামনে জগদীশবাবুকে জেতানোর পর আমিষ আহার করব বলে প্রতিজ্ঞা করি। দলীয় প্রার্থীকে জেতাতে না পারলে সারাজীবন মাছ-মাংস খাব না বলে জানিয়েছিলাম। এদিন সকাল পর্যন্ত প্রতিজ্ঞা ধরে রেখেছিলাম। দলের বর্ধিত সভায় সমস্ত স্তরের নেতারা আসেন। উদয়নবাবু মাছ খাইয়ে দিয়েছেন। এখন থেকে আগের মতো মাছ খাব। এদিন সকলের জন্যই কাতলা মাছ, মুরগির মাংস, পোলাওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল। তিনি তো সেদিনই আমিষ খেতে পারতেন। আসলে ওঁর বয়স হয়েছে। এখন ওঁর আমিষ না খাওয়াই ভালো। তাই আমিষ খাওয়া থেকে দূরে থাকছেন। কোচবিহারের রাজনীতিতে নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। রবিবাবু যখন জেলা সভাপতি ছিলেন, সেসময় নিশীথ তৃণমূল যুব কংগ্রেসে ছিলেন। পবর্তীতে নিশীথ বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে নিশীথ জয়ী হয়েছিলেন। পরবর্তীতে রবি ঘোষকে দল জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এবারের লোকসভা ভোটে বিজেপি আবার নিশীথ প্রামাণিককে প্রার্থী করে। তৃণমূল রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়াকে প্রার্থী করে।
জগদীশবাবু প্রার্থী হওয়ার পর রবিবাবু প্রতিজ্ঞা করেন, তৃণমূল প্রার্থীকে জয়ী করতে না পারলে তিনি আর আমিষ আহার করবেন না। তখন অনেকেই রবিবাবুর এই প্রতিজ্ঞাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। রবিবাবু গোটা ভোট পর্বে ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীকে জেতাতে ময়দানে ছিলেন। নিরামিষ খেয়েই তিনি প্রচারপর্ব সারেন বলে দাবি করেছেন। নির্দিষ্ট দিনে ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, কোচবিহার আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। তখনই ঠিক হয়ে যায় রবিবাবু এবার আমিষ খাবেন। তিনি নিজেও সেকথা জানিয়েছিলেন। এদিন সেই প্রতীক্ষার অবসান হল। দলের বর্ধিত সভামঞ্চে মাছ খেয়ে প্রতিজ্ঞা ভাঙলেন তিনি।