হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বহু মানুষ চিকিৎসা করাচ্ছেন। পাশাপাশি কোথাও কোনও অনিয়ম হচ্ছে কিনা তাও নজরে রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, নার্সিংহোমগুলিতে রোগীর ভুয়ো বিল দেখিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের টাকা হাতানোর ঘটনা নতুন নয়। নদীয়াতে একাধিকবার এই বিষয়টি সামনে এসেছে। গত বছর শেষের দিকে নদীয়া জেলার পাঁচটি নার্সিংহোমকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে শোকজ করা হয়েছিল। যেখানে রোগী ভর্তি না থাকলেও রোগীর চিকিৎসার বিলের টাকা হাতানোর চেষ্টা করেছিল বেশ কয়েকটি নার্সিংহোম। বর্তমানে ব্যাঙের ছাতার মতো জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গজিয়ে উঠেছে ছোট বড় নার্সিংহোম। যেখান থেকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ আসছে। যার জন্য জেলা প্রশাসনের তরফ থেকেও বিষয়টির উপর বিশেষ নজরদারি চালাতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যসাথীর রাজ্য টিম অভিযোগ পেলেই অতর্কিতে নার্সিংহোমগুলিতে অভিযান চালাচ্ছে।
কিন্তু তার মধ্যেও নদীয়া জেলায় এই প্রকল্পে চিকিৎসার অঙ্ক নজর কেড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নদীয়া জেলায় স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ। যার মধ্যে এই প্রকল্পে উপকৃত হয়েছেন ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২২৬ জন। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ২০৫টি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা দেওয়া হয়। যার মধ্যে রয়েছে ৩৮টি সরকারি হাসপাতাল ও ১৬৭টি বেসরকারি হাসপাতাল।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে চিকিৎসার জন্য প্রশাসনের খরচ হয়েছে ৬২৪ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে সরকারি হাসপাতালে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ কোটি টাকা। স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে সরকারি হাসপাতাল থেকে সুবিধা পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার রোগী। বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে চিকিৎসার জন্য খরচ হয়েছে প্রায় ৫৭৬ কোটি টাকা। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এই প্রকল্পের আওতায় চিকিৎসা করিয়েছেন ৪ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪৬৬ জন। বছরখানেক আগেই বিপুল টাকা খরচ করে ভেলোরে গিয়ে চিকিৎসা করাতেন বাংলার মানুষ। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সৌজন্যে তা এখন অতীত। লক্ষাধিক টাকার চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যেই হচ্ছে রাজ্যে। তাতে সমস্ত শ্রেণির মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। বিশেষ করে গরিব খেটে খাওয়া মানুষদের কাছে এই কার্ডের গুরুত্ব অপরিসীম।