গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
একসময় এই জেলার খেজুর গুড়, তাল লবাত বিভিন্ন জেলাতে পৌঁছে যেত। তাল, খেজুর গাছের পরিমাণ ছিল অনেক। খেজুর গাছ এখনও থাকলেও তালগাছের সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছে। আগে বাড়ি করতে তালকাঠ লাগলেও আধুনিক যুগে তার প্রয়োজন ফুরোচ্ছে। খাবার হিসেবেও তালের চাহিদা দিন দিন কমছে। ফলে নতুন করে কেউই তালগাছ লাগাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না বলে মনে করা হচ্ছে। একটি তালগাছ ৮০-১০০ ফুট উঁচু হওয়ায় বজ্রপাত আটকাতে পারে। এসমস্ত উঁচু গাছে বজ্রপাত হলে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কমবে। এছাড়া, ভূমিক্ষয় রোধ, ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ বাড়ানো, বৃষ্টিপাত বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তালগাছ সাহায্য করে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেকারণে আগামী প্রজন্মের কথা ভেবে তালগাছ লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
সিউড়ির কড়িধ্যার যদুরায় হাইস্কুলের জীবনবিজ্ঞানের শিক্ষক পার্থসারথি ঘোষ বলেন, যেভাবে মালদহে একই দিনে বাজ পড়ে এতজনের মৃত্যু হল, তা উদ্বেগের বিষয়। আমার জেলাতেও এরকম কিছুর আশঙ্কা কম নয়। অতিরিক্ত গাছ কাটা, বিশ্ব উষ্ণায়নই এর জন্য মূলত দায়ী। আর এসব ক্ষেত্রে তালগাছের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আমাদের বিপদের হাত থেকে অনেকটাই বাঁচাতে পারে তালগাছ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই বর্ষায় অন্তত ২০টি তালগাছ স্কুলের চারপাশে লাগাব। এটা প্রতি বছর করার পরিকল্পনা আছে।
জেলার এক প্রকৃতিপ্রেমী বিশেষজ্ঞ শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায় বলেন, তালগাছের আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয় না। এই গাছের শিকড় মাটির অনেক গভীরে প্রবেশ করায় ঝড়ে হেলেও যায় না। ফলে যেসব জায়গায় চাষ হয় না, সেখানে তালের আঁটি পুঁতে দিয়ে এলেই হয়ে যাবে। শুনেছি বাংলাদেশের এক চাষি তাঁর জীবনে কয়েকহাজার তালগাছ লাগিয়ে আশপাশের এলাকার ছবিটাই বদলে দিয়েছেন। যেভাবে বজ্রপাতের ঘটনা সামনে আসছে, তাতে বিশেষ করে চাষিদের খুব সতর্ক হতে হবে। আগামী দিনের কথা ভেবে উঁচু গাছ লাগাতে হবে। তবেই রক্ষা মিলবে।