কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
সেই সভার পর মমতা চলে যাবেন দীঘায়। পরের দিন মঙ্গলবার তিনি বিজনেস কনক্লেভের প্রস্তুতি বৈঠক করবেন। বুধবার থেকে জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে বিজনেস কনক্লেভ। সেখানে রাজ্যে ব্যবসার সুযোগ, গত আট বছরে রাজ্যের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন এবং শিল্পে বিনিয়োগের অঙ্ক তুলে ধরা হবে। রাজ্যে শিল্পে বিনিয়োগের পরিস্থিতি যে রয়েছে, তা তুলে ধরতেই ২০১৫ সাল থেকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছর পাহাড়ে হয়েছিল ‘হিল বিজনেস সামিট’। এবার দীঘার সমুদ্র সৈকতে নতুন তৈরি হওয়া কনভেনশন সেন্টারে হতে চলেছে বিজনেস কনক্লেভ। সেখানে ১৭-১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূত, শিল্পোদ্যোগী, কাউন্সেলর এবং বণিকসভার প্রতিনিধিরা হাজির হচ্ছেন। তাঁদের আপ্যায়নের জন্য আয়োজনের কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। শুধু বিদেশি প্রতিনিধিরা নন, দেশের বিভিন্ন শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরাও হাজির হবেন ওই কনক্লেভে। তাঁদের সামনে বদলে যাওয়া বাংলার অর্থনীতি এবং শিল্পে বিনিয়োগের পক্ষে সুস্থ পরিবেশের কথা তুলে ধরা হবে।
কয়েক মাস আগে দীঘায় সমুদ্র সৈকতে একটি অত্যাধুনিক কনভেনশন সেন্টার তৈরি করেছে কেএমডিএ। যার উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কলকাতার বাইরে দেখার মতো কনভেনশন সেন্টার তৈরি হয়েছে, যেখানে ৯৭০ জন বসতে পারবেন। কনভেনশন সেন্টার লাগোয়া হোটেলও আছে। সেখানে ৬৫টি ঘর রয়েছে। এটি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে ফোর বা ফাইভ স্টার সুবিধাসম্পন্ন হোটেল সংস্থাকে। এ জন্য ইতিমধ্যে কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে বিশিষ্ট হোটেল সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সেই কনভেনশন সেন্টার এবং হোটেলকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাইছে মমতার সরকার। এর অন্যতম উদ্দেশ্য, বাংলার পর্যটনশিল্পকে আরও গুরুত্ব দেওয়া।
দেশ-বিদেশের শিল্প প্রতিনিধিদের দীঘায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি, ভলভো বাস এবং ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাডও। ১১ ডিসেম্বর, বুধবার বেলা ১২টায় লাঞ্চের পর আড়াইটে থেকে শুরু হবে অধিবেশন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বিশিষ্ট শিল্পপতি ও শিল্পসংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। বিকেল পাঁচটায় হবে সঙ্গীতানুষ্ঠান। পরের দিন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বি টু বি, জি টু বি-তে অংশ নেবেন শিল্পসংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা। পরিকাঠামো, আইটি, পর্যটন, নগরায়ন সেক্টর নিয়ে ওই কনক্লেভে আলোচনা হবে। কয়েকটি মউ-ও স্বাক্ষরিত হবে। বেলা দু’টোয় হবে সমাপ্তি অনুষ্ঠান।