গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
রায়গঞ্জের শীতগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিহারা নামক একটি প্রান্তিক গ্রামে বাড়ি আফসানার। সে বলে, পরীক্ষা দিয়েই আন্দাজ করেছিলাম সাড়ো ছশো’র বেশি নম্বর পাব। নির্দিষ্ট সময় ধরে পড়াশোনা করিনি। কত ঘণ্টা পড়তে হবে, সেই টার্গেটও ছিল না। পাঠ্যবই খুঁটিয়ে পড়েই সাফল্য পেয়েছি। এছাড়া শহরে যাতায়াতে সমস্যা ছিল বলে গ্রামের এক কোচিং সেন্টারই ভরসা। স্কুলের শিক্ষিকারাও পাশে ছিলেন। আমাকে বই দিয়ে সাহায্য করেছেন। আমার উচ্চ শিক্ষার জন্য সরকার কিংবা প্রশাসন পাশে দাঁড়ালে উপকৃত হব।
কৃতীর বাবা মহম্মদ উসমান কৃষিকাজের পাশাপাশি গাড়িতে মাল বোঝাই করেন। সেই টাকা দিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোনওভাবে সংসার চলে।
মা আসমা খাতুন সাংসার সামলান। কৃতীর বাবা বলেন, মেয়ে চিকিৎসক হতে চায়। সেজন্য সবরকম চেষ্টা করতে রাজি। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে পাঁচজনের সংসার। অভাব রয়েছে। তবে প্রশাসন পাশে দাঁড়ালে মেয়েকে ভালোভাবে পড়াতে পারব।
ছাত্রীর সাফল্যে সুভাষগঞ্জ গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষিকারাও খুশি। আফসানার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বন্দিতা সরকার বলেন, ছোট থেকে এই ছাত্রীটি খুব মেধাবী। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত আমাদের স্কুলের হস্টেলে থেকেই ও পড়াশোনা করেছে। নবম শ্রেণিতে ওঠার পর বাড়ি থেকে স্কুলে যাতায়াত করত। আমরা ওর পড়াশোনায় সবসময় সাহায্য করেছি। আগামীতেও করব। নিজস্ব চিত্র।