সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
নীল-সাদা বেলুন, তৃণমূলের ঝাণ্ডা, সঙ্গে ‘খেলা হবে’ ডিজে গানের তালে নাচ, দলের স্লোগান সহযোগে বর্ণাঢ্য মিছিল করে বুধবার জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে মনোনয়নপত্র জমা দেন ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির প্রার্থী গৌতম দেব। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ জলপাইগুড়ি শহরে চলে আসেন আসেন মন্ত্রী। ক্লাব রোডে একটি হোটেলে রাতে থাকেন। এদিন সকাল ৯টা নাগাদ যান পাণ্ডাপাড়া কালীবাড়িতে। পুজো ও প্রার্থনার পর মন্দির থেকে বেরিয়ে বলেন, আমি ভগবানকে বিশ্বাস করি। তাই শুভকাজের আগে পুজো দিলাম। সেখান থেকে তিনি সমাজপাড়ায় জেলা তৃণমূলের পার্টি অফিসে পৌঁছন। দলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কিষাণ কল্যাণী সহ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে কিছুক্ষণ আলাপ আলোচনার পর শ’দুয়েক অনুগামীকে নিয়ে সমাজপাড়া থেকে জেলাশাসকের অফিস পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। পথচারীদের কেউ কেউ এগিয়ে এসে মন্ত্রীকে আগাম শুভেচ্ছা জানান। মন্ত্রী হাতজোড় করে বলেন, ভোট দেবেন জোড়াফুলে। মিনিট কুড়ির পদযাত্রার পর সকাল ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছন পিডব্লুডি মোড়ে। সেখানেই তাঁর অনুগামীদের মিছিল আটকায় পুলিস। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী সেখান থেকে তিনজনকে সঙ্গে নিয়ে কয়েকশো মিটার পথ হেঁটে তিনি জেলাশাসকের দপ্তরে ঢোকেন। ঘণ্টা খানেকেরও বেশি সময় ধরে চলে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। গৌতমবাবু যখন ভিতরে মনোনয়নপত্র জমা দিচ্ছিলেন, সেই সময় পিডব্লুডি মোড়ে পুলিসের ব্যারিকেডের বাইরে তারস্বরে চলে ‘খেলা হবে’ গান।
মনোনয়ন জমা দিয়ে বেরনোর পর তিনি বলেন, সবকিছুই পরিবর্তনশীল, লোকসভা ভোটে কিছু মানুষের মনও পরিবর্তন হয়েছিল। তাই ওই নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। কিন্তু এই ভোট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন, রাজ্যে সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ভোট। মানুষ সেই বুঝেই চিন্তাভাবনা করে ভোট দেবে। আর এখন আগে কী হয়েছে, তা ভেবে লাভ নেই। আমিও পিছনে ফিরে দেখছি না। তবে যে খেলাই হোক তা যেন ন্যায় নীতি মেনে হয় তাই কাম্য। একইসঙ্গে তিনি যোগ করেন গত ১০ বছরে উত্তরবঙ্গে কী কী জনমুখী কাজ হয়েছে।
গৌতম দেব আরও বলেন, মাথা নিচু করে মানুষের কাছে যাচ্ছি। মানুষও আমাকে ভালোবাসেন। কারণ, আমি তাঁদের জন্য বহু কাজ করেছি। এখন ভোট প্রার্থনা করছি। নিশ্চিতভাবেই তাঁদের আশীর্বাদ আমি পাব। তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, জলপাইগুড়ির সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল জিতবে।
এদিন গৌতম দেব ছাড়াও জলপাইগুড়ির তিন বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ধূপগুড়ির মিতালি রায়, রাজগঞ্জের খগেশ্বর রায় ও ময়নাগুড়ির মনোজ রায় জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দপ্তরে এসে মনোনয়ন জমা দেন। একমাত্র জলপাইগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী ডাঃ প্রদীপকুমার বর্মা এদিন মনোনয়ন জমা দেন জেলাশাসক দপ্তর সংলগ্ন মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে। নিজস্ব চিত্র