সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
ভোটের মুখে বিজেপির জেলা পরিষদের সদস্যা এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় একদিকে যেমন জোড়াফুলের শক্তিবৃদ্ধি হল, তেমনই জেলা পরিষদেও আসন সংখ্যা বাড়িয়ে নিল ঘাসফুল শিবির। দলবদলু গৌরচন্দ্র মণ্ডল গেরুয়া শিবিরে নাম লেখালেও বিজেপি নেত্রী সাগরিকা সরকার জোড়াফুলে যোগদান করায় ভোটের আগে জেলা পরিষদ নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে তৃণমূল। এনিয়ে তৃণমূল শিবিরে খুশির হাওয়া বইছে। অন্যদিকে নাস্তানাবুদ বিজেপি। বিজেপির প্রার্থী নিয়ে দলের একাংশের নেতানেত্রী এমনকী নিচুতলার কর্মী মহলে এখনও যথেষ্টই ক্ষোভ জমে রয়েছে। গাজোলের পাশাপাশি মালদহ বিধানসভাতেও গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বিদ্রোহ চলছে । সেখানকার নিচুতলার কর্মীরা দফায় দফায় বিজেপির জেলা অফিসে ধর্না দিচ্ছেন। দলীয় শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁদের সেই ক্ষোভ মেটাতে রীতিমতো নাজেহাল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির জেলা পরিষদ সদস্যের দলবদল ভোটের মুখে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই দলবদলে বিজেপিতে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেন, সাগরিকার যোগদান নিয়ে আমরা খুশি। বিজেপি নিজেদের কর্মীদের কাজ করার সুযোগ দিচ্ছে না। যে কারণে তাঁরা বিজেপিতে ভরসা পাচ্ছেন না, তৃণমূলে যোগদান দিচ্ছেন। তাঁদের নিয়েই গাজোল বিধানসভায় আমরা জয়ী হব। জেলা পরিষদও তৃণমূলের দখলে থাকবে। এ বিষয়ে বিজেপি ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে আসা নেত্রী সাগরিকা সরকার বলেন, মানুষের জন্য কাজ করব বলে তৃণমূলে এসেছি। বিজেপি কাউকে গুরুত্ব দিতে জানে না। ওই দলে থেকে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। যে কারণে দলবদল করেছি। জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর দুলাল সরকার বলেন, বিজেপির নির্বাচিত আরও কিছু জেলা পরিষদ সদস্য আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। বিজেপি তাদের কোণঠাসা করে রেখেছে। তাঁরাও আগামী দিনে যোগদান করবেন। এ বিষয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, সাগরিকা সরকারের দলবদলে আমাদের দলে কোনও প্রভাব পড়বে না। আসলে তিনি প্রার্থী হতে চাইছিলেন। তাঁর ইচ্ছে পূরণ হয়নি বলে চলে গিয়েছেন। এতে বিজেপির কোনও লোকসান হবে না।
মালদহ জেলা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ৩৭ জন। সম্প্রতি সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল তৃণমূলের বেশ কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপরই তৃণমূল পরিচালিত মালদহ জেলা পরিষদে ডামাডোল তৈরি হয়। বিজেপি নেতৃত্বে একসময় দাবি করে, জেলা পরিষদ তাদের দখলে চলে এসেছে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানায় তৃণমূল। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়। যা নিয়ে জেলায় গেরুয়া শিবিরের অন্দরেই তৈরি হয় কোন্দল। গাজোল, মালদহ, মানিকচক বিধানসভায় প্রার্থী বদলের দাবিতে জেলা বিজেপির অফিসে ভাঙচুর করা হয়। আর এই ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলা পরিষদের দলীয় সদস্য সাগরিকা সরকারকে সাসপেন্ড করে বিজেপি নেতৃত্ব। আরও বেশ কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল রীতিমতো মাথাচাড়া দিয়েছে বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র