শেয়ার মেয়াদি সঞ্চয়সহ একাধিক ক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। ব্যবসায় কেনাবেচা বাড়বে। ... বিশদ
ভারতজুড়ে ছড়িয়ে আইআইটির মোট ২৩টি ক্যাম্পাস। সব মিলিয়েই তথ্য জানতে চেয়েছিলেন ওই প্রাক্তন ছাত্র ধীরাজ সিং। তাতেই জানা গিয়েছে, ক্যাম্পাসিংয়ের জন্য নথিভুক্তি করিয়েছিলেন ২১ হাজার ৫০০ পড়ুয়া। তার মধ্যে নিয়োগপত্র পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪১০ জন। অর্থাৎ, ৮ হাজার ৯০ জন চাকরি পাননি। ২০২২ সালের নিরিখে হিসেব করলে চাকরি না পাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আড়াই গুণ বেড়েছে। এমনকী, ’২২ সালেরই ১৭১ জন এখনও চাকরি পাননি। বিরোধীরা বলছে, মোদি জমানায় বেকারত্ব এমন নজির গড়েছে যে, আইআইটিয়ানরাও মনের মতো চাকরি পাচ্ছেন না! তাহলে সাধারণ পড়ুয়াদের কী অবস্থা?
বাংলার কংগ্রেস নেতা, শিল্পপতি তথা স্বাধীনতার পর বাংলার অর্থমন্ত্রী নলিনীরঞ্জন সরকারের মস্তিষ্কপ্রসূত অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি। প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন, দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য উৎকর্ষের শিখরে থাকা এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যা হবে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) সমতুল। এর আগেই তাঁর নেতৃত্বে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত কমিটিও নির্মাণ করা হয়েছিল। তার নাম ছিল সরকার কমিটি। সেই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী স্থির হয়, দেশের চার প্রান্তে চারটি আইআইটি গড়ে তোলা হবে। ১৯৫০ সালে সর্বপ্রথম আইআইটি ক্যাম্পাস পশ্চিমবঙ্গের খড়্গপুরে। তারপর থেকে একের পর এক আইআইটির উত্থান, জনপ্রিয়তা এবং উৎকর্ষ বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেখানেই চাকরির হাহাকার?
ভারতের বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীরা লাগাতার মোদি সরকারকে চেপে ধরেছে। নীতি আয়োগ কয়েক বছর আগে তাদের রিপোর্টে বলেছিল, ৪৫ বছরের মধ্যে এমন বেকারত্ব দেখা যায়নি। অমৃতকাল, কর্তব্যকাল, বিকশিত ভারত স্লোগানের প্রচারে বেকারত্বকে বারবার আড়ালে ঠেলে দিতে চেয়েছে মোদি সরকার। ২০২২ সালের জুন মাসে ঘোষণা করা হয়েছিল, দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ চাকরি হবে। সেইমতো মাঝেমধ্যে রোজগার মেলা নামক একটি নয়া ইভেন্টের আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারি চাকরির নিয়োগপত্রও প্রার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। অর্থাৎ, সরকারি চাকরির পরীক্ষার মাধ্যমে তাবৎ দপ্তরে যে চাকরি স্বাভাবিকভাবে পাওয়ার কথা, সেটাই রোজগার মেলায় দেওয়া হয়েছে। তারপরও নজিরবিহীন বেকারত্বের কঙ্কাল ঢাকা পড়েনি। নরেন্দ্র মোদি বারবার প্রচার করেন, নেহরু কিছুই করেননি ভারতের জন্য। কিন্তু ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রতিষ্ঠিত আইআইটির সম্মান আজ এভাবে ভুলুণ্ঠিত কেন? এই প্রশ্নের জবাব কি তাঁর তৈরি আছে?