আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় এবার মোদি সরকারকে স্মল পক্স এবং পোলিও’র টিকা কর্মসূচি অনুসরণের পরামর্শ দিল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলল, করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর প্রকৃত পরিসংখ্যান কেন লুকোচ্ছে কেন্দ্র? করোনা থেকে রক্ষা পেতে গোটা দেশে যেখানে ২০০ কোটি ডোজ হলেই হয়ে যায়, সেখানে ৩৫ হাজার কোটি টাকা হাতে নিয়েও সবাইকে কেন বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে না মোদি সরকার? কেন রাজ্যের ঘাড়ে চাপানো হচ্ছে দায়?
বলা হয়েছে, বিনামূল্যে সার্বিক টিকাকরণেই সম্ভব হয়েছিল স্মল পক্স আর পোলিওর নির্মূলকরণ। তাই ১৯৯৭ এবং ২০১৪ সালের সেই সাফল্যের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে করোনারও সার্বিক টিকাকরণ হোক। কড়া বিবৃতি জারি করে আইএমএ’র অভিযোগ, আরটিপিসিআর নেগেটিভ কেউ মারা গেলে তাঁকে কোভিডে মৃত্যু বলে দেখানো হচ্ছে না। কেন এভাবে মৃত্যুর পরিসংখ্যান আড়াল করা হচ্ছে? মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা যত স্পষ্ট সামনে আসবে, সাধারণের মধ্যে ততই ভয় তৈরি হবে। যা আদতে সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে কাজে দেবে দাবি করে কেন্দ্রকে আইএমএ’র প্রস্তাব, এখনই ন্যাশনাল লকডাউন ঘোষণা হোক। নাহলে সংক্রমণের এই ঢেউ রোখা যাবে না।
এদিকে, ১০ দিন হয়ে গেল ১৮ ঊর্ধ্বদের টিকা কর্মসূচি শুরু হলেও কোনও রাজ্যে এখনও পর্যন্ত তা নিয়েছেন মাত্র একজন। কোথাও দুজন। স্বাস্থ্যমন্ত্রকেরই তথ্য বলছে, ১৮-৪৪ বয়সি টিকাকরণ কর্মসূচিতে পুদুচেরিতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন মাত্র একজন। ত্রিপুরা, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, চণ্ডীগড়ে নিয়েছেন দু’জন করে। বিজেপি শাসিত হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এই সংখ্যাটি যথাক্রমে ১৪ এবং ২১ জন। পশ্চিমবঙ্গে অবশ্য এই সংখ্যাটি সাড়ে পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। তাই রাজ্যগুলিকে এই কাজে গতি আনার পরামর্শ দিল কেন্দ্র।
এই পরিস্থিতিতে তাই ভ্যাকসিনের অভিন্ন নীতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু সোমবার সুপ্রিম কোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি শুরু হতেই ডাউন হয়ে গেল সার্ভার। সরকারি ব্যবস্থায় চেষ্টা করেও ঠিক হল না পরিস্থিতি। তাই শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের তিন সদস্যের বেঞ্চ। আগামী বৃহস্পতিবার ১৩ মে ফের শুনানি হবে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ আদালতে যে লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, কেন্দ্র সরাসরি ১৮- ৪৪ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে ভ্যাকসিন না দিলেও রাজ্যগুলি তো দিচ্ছে। ফলে আদতে গ্রাহকের কোনও ক্ষতি নেই। তাঁরা সুবিধা পাচ্ছেই। একইসঙ্গে মোদি সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, অন্য কোম্পানিকে এই মুহূর্তে ওই একই ভ্যাকসিন তৈরি করতে দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে।