আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
সূত্রে খবর, মধ্যপ্রদেশ সরকারের এক প্রথমসারির মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে মোখার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়েই তিনি এতদিন ভুয়ো রেমডিসিভিরের ব্যবসা চালাচ্ছিলেন বলে সন্দেহ করছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ইন্দোর থেকে ৫০০টি ভুয়ো রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন কিনে সেগুলি নিজের হাসপাতালে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলেন মোখা।
ইতিমধ্যেই কংগ্রেস এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, করোনা সঙ্কটকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই গোটা দেশজুড়েই জীবনদায়ী রেমডিসিভিরের ব্যবসা ফেঁদেছে। এই অসাধু চক্র রোধ করতেই এই মামলায় সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। তাহলে আরও রাঘববোয়ালের নাগাল পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য বিবেক টাঙ্খার ট্যুইট, ‘এই কেলেঙ্কারিতে সিবিআই তদন্ত দরকার। ইন্দোরে ৩ হাজারটি এই ধরনের ভুয়ো ইঞ্জেকশন পৌঁছেছে। জব্বলপুরে পৌঁছেছে সাড়ে তিন হাজার। কারা এই চক্রের পিছনে রয়েছে? সিবিআই যদি এই মামলায় তদন্ত না করে তাহলে, আমরা আদালতে যাব।’
এদিকে ভুয়ো রেমডিসিভিরের অন্য একটি মামলায় অভিযুক্ত ১১ জনের মধ্যে ছ’জনের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় মামলা দায়ের করেছে ইন্দোর পুলিস। কারা এই ভুয়ো ইঞ্জেকশন তৈরির পিছনে রয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ইঞ্জেকশন দেওয়ায় গত সপ্তাহেই ইন্দোরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া জব্বলপুরেও একই অভিযোগ নিয়ে বহু মানুষ পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে গুজরাত পুলিস ভুয়ো রেমডিসিভির চক্র ফাঁস করে এবং সুরাত থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, নুন ও গ্লুকোজ ব্যবহার করেই ওই ভুয়ো রেমডিসিভির ইঞ্জেকশন তৈরি করা হয়েছিল।