প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
মোদি সরকার কৃষক বিরোধী, গত কয়েকদিন ধরে এই প্রচার শুরু করেছে বিরোধীরা। আর বিরোধী প্রচারের পালের হাওয়া কাড়তেই আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সহায়ক মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার গোটা বিষয়টি যেহেতু কৃষি ও কৃষক কেন্দ্রিক তাই তা যথেষ্ট স্পর্শকাতর। সেই কারণেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবারও কৃষকদের আবেদন করেছেন, ভুল না বুঝে তাঁর উপর আস্থা রাখতে। বলেছেন, এই বিল কৃষকদের স্বাধীনতা দেবে। মুক্তি দেবে দালালরাজ থেকে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমি কৃষকদের যন্ত্রণা বুঝি। কৃষকদের ক্ষতি আমার দ্বারা হবে না। একইসঙ্গে গোটা মন্ত্রিসভা ও বিজেপি দল একযোগে নেমেছে বিলের সমর্থনে প্রচারে।
বলা বাহুল্য, কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের আন্দোলনে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন সরকার। সংসদ তো বটেই, ক্রমেই জাতীয় স্তরেও বিজেপি বিরোধী এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছে তৃণমূলই। একদিকে যেমন রাজস্যসভায় গত কয়েকদিনের লাগাতার এই বিল বিরোধী অবস্থানে সবথেকে সরব ছিল তৃণমূলই। ডেরেক ও ব্রায়ানের নেতৃত্বে তৃণমূল এমপিরাই সর্বপ্রথম এই বিল নিয়ে রাজ্যসভায় ওয়েলে এবং তারপর থেকে সংসদ প্রাঙ্গণে লাগাতার ধর্না অবস্থান শুরু করে। সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে একের পর এক বিরোধী দলও। প্রাথমিকভাবে শিবসেনা ওই বিলকে সমর্থন করলেও পরবর্তী সময়ে তারা অবস্থান বদলে বিলের বিরুদ্ধে চলে যায়। একইসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চড়া হুঁশিয়ারিও জাতীয় রাজনীতিতে পুনরায় চর্চায় চলে এসেছে।
বিরোধীরাই শুধু নয়, সরকারের এতদিনের বন্ধু দলগুলিও হঠাৎ এই ইস্যুতে বিপরীত অবস্থানে চলে যাওয়ায় যথেষ্ট উদ্বেগে পড়েছে বিজেপি ও সরকার। বিভিন্ন বিল পাশ করানোর সময় এতদিন সরাসরি জোটে না থাকলেও বিজু জনতা দল, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি সংসদে বিজেপির পাশেই দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এবার কৃষি বিল নিয়ে দেখা যাচ্ছে, ওই দলগুলিও সরকারের তীব্র বিরোধিতা করছে। এই কারণেই কিছুটা চিন্তিত মোদি সরকার। বিশেষ করে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে কৃষক আন্দোলন শুরু হয়েছে। কৃষি বিল কৃষকদের বিরাট সর্বনাশ করবে, এরকমই একটি প্রচার করতে মরিয়া বিরোধীরা। আর আসন্ন বিহার নির্বাচনের আগে সেই কারণেই শঙ্কিত বিজেপি। ধর্নায় আট সাসপেন্ডেড সাংসদ। ছবি: পিটিআই