প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ
এদিন ভিওয়ান্ডির প্যাটেল কম্পাউন্ড এলাকার বহুতলটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারে নেমে পড়েন। খবর পেয়ে চলে আসে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)। এছাড়াও জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, দমকল এবং পুলিসও উদ্ধারে নেমে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে একের এক দেহ বাইরে বের করে নিয়ে আসেন। ভেঙে পড়া বহুতল থেকে এনডিআরএফ ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করে। তবে এখনও কয়েকজন বাড়িটিতে আটকে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তারা। এদিকে ভেঙে পড়া বহুতলে অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছে চার বছরের এক শিশু। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিস। এনডিআরএফের ডিজি এস এন প্রধান বলেন, বহুতলের একটি অংশ ভেঙে পড়লে তার নীচে বহু মানুষ আটকে পড়েন। তাঁদের খুঁজে বের করতে প্রশিক্ষিত কুকুর এনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ভিওয়ান্ডি-নিজামপুর পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, ওই বহুতলের ৪০টি ফ্ল্যাটে প্রায় ১৫০ জন বসবাস করতেন। বহুতলটি প্রায় ৪১ বছরের পুরনো। পুরসভা বহুদিন আগেই বাড়িটিকে বিপজ্জনক বলেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেখানকার বাসিন্দাদের টনক নড়েনি বলে অভিযোগ। সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টির কারণে মাটি নরম হয়ে যাওয়ায় বাড়িটি ভেঙে পড়ে বলে প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান। পুলিস বহুতলের মালিক সইদ আহমেদ জিলানির বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘মহারাষ্ট্রের ভিওয়ান্ডির ঘটনা খুবই দুঃখজনক। মৃতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।’ বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব থ্যাকারেও। সোমবার দুপুরে মুম্বই শহরতলির মানকোলিতে একটি উড়ালপুলের উদ্বোধনের কথা ছিল তাঁর। কিন্তু ভিওয়ান্ডির ঘটনার পর, তিনি ওই অনুষ্ঠান স্থগিত রেখেছেন। গত মাসেও মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে একটি বহুতল ভেঙে মৃত্যু হয়েছিল ১৬ জনের। এদিকে বাড়ি ভেঙে পড়া নিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারকে একহাত নিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত। ওই বলিউড অভিনেত্রী ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করছে মহারাষ্ট্র সরকার। যার ফলে অন্য কাজে মনোযোগ দেওয়ার সময় নেই সরকারের। এমনটা চলতে থাকলে গোটা রাজ্যটাই ভেঙে পড়বে।’ ছবি: পিটিআই