বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
আর জি করে দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই জেনেছে, ওষুধ সরবরাহকারী সংস্থার কাছ থেকে কেনা হয়েছে হাসপাতালের পর্দা ও সোফা। খাতায়কলমে তা আর জি করে আসার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা আসেনি। শুধু নিম্নমানের ওষুধ কেনাই নয়, যে পরিমাণ মেডিসিন, স্যালাইন আসার কথা কাগজেকলমে উল্লেখ রয়েছে, হাসপাতালে বাস্তবে তা সরবরাহই করা হয়নি। এমনকী সার্জিকাল বিভিন্ন সামগ্রীও কেনা হয়েছে কাগজেকলমে। এভাবে কোটি কোটি টাকা সরকারি কোষাগার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। তদন্তকারীরা বিপুল পরিমাণ জাল ইনভয়েসের খোঁজ পেয়েছেন।
একইসঙ্গে মিলেছে একাধিক কাগুজে কোম্পানির অস্তিত্ব। ঘটনাচক্রে এগুলি তৈরি করা হয়েছিল ২০১৪-র পর থেকে। তাদের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে খাতায়কলমে। ওই অফিসের যে ঠিকানা দেওয়া রয়েছে তদন্তকারীরা সেখানে গিয়ে দেখেছেন, কোনও অস্তিত্বই নেই! অনেক ক্ষেত্রে ঠিকানা মিললেও সেখানে গোডাউন বা খালি জমির সন্ধান মিলেছে। একইসঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ নিজের পচ্ছন্দমতো কোম্পানিকে হাসপাতালের টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে কমিশন পেয়েছেন বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। মেডিক্যাল সামগ্রী সরবরাহের অভিজ্ঞতা না-থাকা সত্ত্বেও সন্দীপের ঘনিষ্ঠ হওয়াতেই তাঁরা কাজ পেয়েছিলেন। তদন্তকারী সংস্থা জেনেছে, টেন্ডার পিছু তাঁকে ২০-৩০ শতাংশ কমিশন দিতে হতো। এই টাকা বিভিন্ন কোম্পানি ঘুরে তাঁর কাছে পৌঁছেছে বলেই জেনেছেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে তাঁর কাছে যাওয়া টাকার পরিমাণ কত, জানার চেষ্টায় এখন তদন্তকারীরা।