বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
বস্তুত, জনপ্রতিনিধি থেকে দলীয় পদাধিকারীদের পারফরম্যান্স এবার তৃণমূলের আতস কাঁচের তলায়। দল কাউকে পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর করেছে। যেখানে সাধারণ মানুষকে নাগরিক পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া তাঁদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু বেশ কিছু জায়গা থেকে দলের কাছে অভিযোগ এসেছে, তাঁরা সঠিকভাবে সেই দায়িত্ব পালন করছেন না। পুরসভা এলাকার কোনও কোনও জনপ্রতিনিধি ব্যক্তি স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেরা ফুলেফেঁপে উঠছেন। আবার কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতিরও অভিযোগ উঠেছে। আবার কোথাও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এই সমস্ত অভিযোগ সামনে আসার পর পুরসভা অর্থাৎ শহরাঞ্চলের কয়েকটি জায়গাতে তৃণমূল থেকে মানুষকে মুখ ফিরিয়ে নিতেও দেখা গিয়েছে। যার সাম্প্রতিক উদাহারণ এবছরের লোকসভা ভোট। যে ফলাফল খাতায়-কলমে দেখিয়ে দিয়েছে, পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের ভোটপ্রাপ্তি আশানুরূপ নয়।
এই প্রেক্ষাপটই বিশ্লেষণ করে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে কলকাতা বাদে বাকি পুরসভা এলাকা নিয়ে একটি রদবদলের তালিকা করে সুপারিশ হিসেবে জমা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। বৃহস্পতিবার নিজের জন্মদিনে কালীঘাটে বসে অভিষেক স্পষ্টত জানিয়ে দিলেন, দল যাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেটা পালন করা তাঁর কর্তব্য। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালন যে বা যাঁরা করছেন না বা যাঁদের পারফরম্যান্স ভালো নয়, তাঁদের বদল করা হোক। রাজ্যের প্রায় ৬০ থেকে ৭০টির মতো পুরসভা এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এর মধ্যে ২-৩টি কর্পোরেশনও রয়েছে। ফলে কারা পদ খোয়াচ্ছেন, তা কয়েকদিনের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
অন্যদিকে, তৃণমূলের ১০-১২টি জেলা সভাপতির পারফরম্যান্স বা ভূমিকা সঠিক নয় বলে অভিষেকের নজরে এসেছে। তাঁদের ক্ষেত্রেও রদবদলের সুপারিশ তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে জমা দিয়েছেন অভিষেক। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল বীরভূম জেলা। এক্ষেত্রে অভিষেকের ব্যক্তিগত মত, মমতার তৈরি করে দেওয়া কোর কমিটি থাকুক। পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটি যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। ফলে সংগঠনের স্বার্থে সেই কমিটি সক্রিয়ভাবে কাজ করুক।