বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
কৃষকদের আর্থিকভাবে সহায়তার লক্ষ্যেই মোদি সরকারের এই প্রকল্প। প্রতি বছর তিন কিস্তিতে মোট ছ’হাজার টাকা সরাসরি চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠায় কেন্দ্র। অসম বিধানসভায় ক্যাগের যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তাতে স্পষ্ট যে ডাবল ইঞ্জিন এই রাজ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নে ব্যাপক জালিয়াতি হয়েছে। এর জন্য দায়ী প্রশাসনিক ত্রুটি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত পিএম কিষানের মূল্যায়ন করেছে ক্যাগ। দেখা গিয়েছে, এই সময়কালে ৪১,৮৭,০২৩টি আবেদনের মধ্যে ১০,৬৬,৫৯৩টি (প্রায় ২৫ শতাংশ) অযোগ্য। এমনকী, গত ২০২০ সালের মে-জুলাই মাসে অসম সরকারের তদন্তেই উঠেছে এসেছিল যে, ৩১,২০,৪৩০ জন অনুমোদিত সুবিধাভোগীর ৩৭ শতাংশই অযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও পিএম কিষানের টাকা পেয়েছেন। বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভুয়ো উপভোক্তাদের চিহ্নিত করা সত্ত্বেও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়নি। ২০২১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ০.২৪ শতাংশ অর্থ ফেরত পাওয়া গিয়েছে। সেটুকুও অবশ্য হাতে পায়নি কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রক। ক্যাগ সাফ জানিয়েছে, অযোগ্য উপভোক্তাদের অনেকেই কৃষক নন। সরকারী কর্মচারী, এমনকী পেনশনভোগীরা পর্যন্ত রয়েছেন সেই তালিকায়।
বরপেটা সহ ১১টি জেলাজুড়ে মূল্যায়নের কাজ চালিয়েছে ক্যাগ। এর মধ্যে বরাপেটাতেই সর্বাধিক বেশি ভুয়ো উপভোক্তা কিংবা দুর্নীতির হদিশ মিলেছে। ক্যাগ রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, সর্বত্রই সুবিধাভোগীদের পরিচয় যাচাই ও গোটা প্রক্রিয়ার তদারকিতে গাফিলতি ছিল। মোট ২২টি ব্লকের রেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, সেখানে জমির মালিক ও কৃষকদের কোনও ডেটাবেস বা তথ্যভাণ্ডার রাখা হয়নি। তবে সবথেকে উদ্বেগজনক অভিযোগ হল, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্যের অপব্যবহার। ১০টি জেলায় একই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তিন হাজারেরও বেশি উপভোক্তার নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই মামলায় ৯৮ জন কৃষি উন্নয়ন আধিকারিকের নাম জড়িয়েছে। ফলে মুখ পুড়েছে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার।