বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
এক আইনজীবী তো এদিন আরও একধাপ এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিচারব্যবস্থা ও পুলিসের উপর ভরসা নেই বলেও অভিযোগ করেন। সেকথা শোনা মাত্র কড়া ধমক দেন দেশের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, ‘কে বলেছে আপনাকে এসব কথা? ক্যান্টিনের গসিপ আদালতের অন্দরে নিয়ে আসবেন না। তাছাড়া বাংলার মানুষের হয়ে যে দাবি তুলছেন, কার আইনজীবী আপনি?’ যদিও ওই আইনজীবী নিজের পরিচয় দেননি। ধমক খেয়ে অন্যদের ভিড়ে মিশে যান।
সিবিআইয়ের তদন্তের রিপোর্ট নিয়ে সওয়াল খাড়া করেন মামলার এক আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি। তিনি বলেন, ‘৯৩ দিন হয়ে গেল। সিবিআই নতুন কিছু বলতে পারল না।’ তখনই তাঁর কথা কেড়ে নিয়ে এক আইনজীবী রাজ্যের বাইরে মামলার বিচার প্রক্রিয়া সরানোর আবেদন করেন। তা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘চার্জশিট হয়ে গিয়েছে। চার্জ ফ্রেম হয়ে গিয়েছে। তাই নিম্ন আদালতেই বিচার চলবে। তাছাড়া ট্রায়াল কোর্টে জেলা বিচারকের কাছে যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। তিনি চাইলে তদন্তের নতুন নির্দেশও দিতে পারেন। আমরা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছি না।’
দেশজুড়ে ডাক্তারদের নিরাপত্তায় এদিন একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স। সেখানে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গোটা দেশের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালেই তা কার্যকর করতে হবে বলেই নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। আগের শুনানিতে আর জি করে ভাঙচুর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের ডিউটি নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। এদিন অবশ্য সেই প্রসঙ্গ ওঠেনি।
আর জি কর মামলার দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে চন্দ্রচূড়ের এটাই শেষ শুনানি। রবিবার তাঁর কর্মজীবনের অন্তিম দিন। সেই হিসেবে আজ, শুক্রবারই তিনি শেষবারের মতো এজলাসে বসবেন। তবে এরপর অন্য যে বেঞ্চ আর জি কর মামলা শুনবে, সেখানে বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র থাকবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।