বিজ্ঞান গবেষণা ও ব্যবসায় আজকের দিনটি শুভ। বেকাররা চাকরি প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রতিবারের মতো এবারও নির্ধারিত সময় ৪টের কিছু আগেই তক্তাঘাটে পৌঁছন মমতা। আগে থেকেই সেখানে পুণ্যার্থীরা পুজো করার জন্য দলে দলে যাচ্ছিলেন গঙ্গার অভিমুখে। গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে করতে হেঁটেই মঞ্চে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলার ১৫টি ঘাটে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানের সূচনা করেন তিনি। সেখানে বক্তব্য রাখার পর মুখ্যমন্ত্রী স্ব-পার্ষদ দইঘাটের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে সূর্য মন্দিরে পুজো দেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে এসেছে দইঘাটের সংস্কার ও সূর্য মন্দির নতুন করে বানানোর প্রসঙ্গ। বিজেপির নাম না পরোক্ষেভাবে হিন্দিভাষাভাষির মানুষের কাছে মমতার আবেদন—‘আপনারা বিশ্বাস রাখুন। কোনও সমস্যা থাকলে, অভিযোগ থাকলে বলবেন। কিন্তু ভুল ভেবে মুখ ফিরিয়ে থাকবেন না। বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। বাংলায় আমরা সব ধর্ম, জাতির মানুষেরা একসঙ্গে থাকি। সেটাই বাংলার ঐতিহ্য, পরম্পরা। কেউ কেউ ধর্মে ধর্মে বিভেদ লাগিয়ে ভাগ করতে চায়। কিন্তু আমি সেটার বিরুদ্ধে। জীবন দিতে রাজি। কিন্তু ভাগ করতে দেব না। এটাই ইন্ডিয়া।’ হিন্দিভাষী মানুষেরা তাঁর কতটা কাছের সেটা বোঝাতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তা আধিকারিক ও গাড়ির চালকের কথাও উল্লেখ্য করেন মমতা। বলেন, ওরা বিহারের মানুষ। ওদের থেকে ঠেকুয়া নিয়ে খাই।
পাশাপাশি, এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার থেকে প্রতি বছর দুর্গাপুজোর মতোই ছটের জন্যও গান লিখবেন তিনি। নিরাপত্তার স্বার্থে সকলকে ধীরে সুস্থে ছট পালনের পরামর্শও দেন মমতা। বলেন, জলের নেমে পুজো করতে হয়। তাই, হুড়োহুড়ি করবেন না। একসঙ্গে বেশি লোক চলে নামার চেষ্টা করলে তো স্ট্যাম্পেড হয়ে যাবেন। কেউ কিছু বললে শুনবেন না। গ্রুপ করে পুজো করুন!