উকিল ও ডাক্তারদের কর্মব্যস্ততা বাড়বে। পত্নী/পতির স্বাস্থ্য আকস্মিক ভোগাতে পারে। মানসিক অস্থিরভাব। ... বিশদ
খুনের বরাত নেওয়া সৈয়দ আমানুল্লাকে ভিডিও কলে জেরা করে তদন্তপর্বে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন সিআইড’র আধিকারিকরা। এমপি খুনের ষড়যন্ত্রকারী তাঁর বাল্যবন্ধু আখতারুজ্জামান শাহিন এর আগে তিনবার পরিকল্পনা করলেও, তা ভেস্তে যায়। এমনকী আনারের পিছু ধাওয়া করে শাহিন তিনবার কলকাতায় এসেছিলেন। একবার তার সঙ্গে এসেছিল সুপারির বরাত নেওয়া আমানুল্লা ও ‘কসাই জিহাদ’। কোনওভাবে আনারকে বাগে আনতে পারেননি তারা। এরই মধ্যে আমানুল্লার এক সহযোগী সাইফুল আলমকে মঙ্গলবার যশোর থেকে গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ ডিবি। খুনের সঙ্গে তার যোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা থেকে মঙ্গলবারই ঢাকা ফিরেছিল সাইফুল। ফিরেছিল।
বাংলাদেশ পুলিসের শীর্ষ কর্তারা কলকাতায় পৌঁছনোর পর ভিডিও কলে দুই দেশের গোয়েন্দারা আমানুল্লার কাছে জানতে চান, এর আগে কখনও এমপি’কে খুনের চেষ্টা করা হয়েছিল কি না! সুপারির বরাত নেওয়া আমানুল্লা তদন্তকারীদের জানিয়েছে, এমপি কবে পশ্চিমবঙ্গে আসছেন, এই সংক্রান্ত খবরাখবর তাঁর ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে পাচ্ছিলেন। ২০২৩-র ১৮ ডিসেম্বর আনার এই রাজ্যে আসেন। পরদিন শাহিন চেলসিয়া চেরি নামে এক বান্ধবীকে নিয়ে কলকাতায় পা রাখেন। বান্ধবীর মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আনারকে টোপ দেওয়া হয়। এমপিকে চিনার পার্ক এলাকার একটি ফ্ল্যাটে আসতে বলেন চেলসিয়া। পাশাপাশি আনারকে অনুসরণ করছিল তারা। সন্দেহ হওয়ায় তাদের এড়িয়ে চলতে শুরু করেন আনার। যে কারণে ২৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফিরে যায় শাহিন ও তার বান্ধবী। এরপর চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি আনার কলকাতায় আসছেন, এই খবর আগে আগাম জেনে যান শাহিন। ১৮ জানুয়ারি রাজ্যে এসে নিউটাউন এলাকায় আগে থেকে ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাটে উঠেছিল। পরিকল্পনা ছিল, এমপিকে সেখানে ডেকে আনার। সেইমতো ফোনও যায় আনারের কাছে। তিনিও রাজিও হয়েছিলেন। হঠাৎ করে আওয়ামি লিগের জরুরি মিটিংয়ে ডাক পড়ায় ঢাকায় ফিরে যান ঝিনাইদহের এমপি। বিফল মনোরথে দেশে ফিরতে হয় শাহিনকে।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, চলতি বছরের মার্চে আনারকে এই রাজ্যে আবার খুনের পরিকল্পনা করেন শাহিন। ১৬ মার্চ তিনি কলকাতায় চলে আসেন। এবার তাঁর সঙ্গে আসে জাহিদও। ১৮ তারিখ রাজ্যে হাজির হন আনার। ব্যবসায়িক আলোচনার জন্য শাহিন তাঁকে আসতে বলে। এমপি জানান মাত্র একদিনের জন্য ব্যবসায়িক কাজে এসেছেন। তাই কোনওভাবেই দেখা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে গিয়ে আলোচনা হবে। ১৯ মার্চ দুজনে একসঙ্গে দেশে ফেরেন। তদন্তকারীরা জেনেছেন,তিনবার ব্যর্থ হওয়ার পর এবার শাহিন ও তাঁর দলবল স্থির করে ফেলে আনারকে খুন করবেই। সেইমতো ফলপ্রুফ পরিকল্পনা তৈরি হয়। তিনবার বরাতজোরে বেঁচে গেলেও, এবার ফাঁদ থেকে বের হতে পারেননি আওয়ামি লিগের এমপি।