আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
কয়েক বছর আগে খুচরো বাজারে পোস্ত বিক্রি হতো ৫০০ টাকা কেজি দরে। ২০২০ সালে এর দাম ছিল ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি। চলতি বছরের শুরুতে হঠাৎই পোস্তর দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৭০০ থেকে ১৯০০ টাকা কিলো। দামের এমন ঝাঁঝে বাঙালির পাত থেকে পোস্ত প্রায় উধাও। দুর্গাপুর শহর থেকে গ্রামগঞ্জের বিভিন্ন মুদিখানায় বিভিন্ন মানের পোস্ত বিক্রি হচ্ছে। বেশ কিছু দোকানে ছোট ছোট প্লাস্টিকের প্যাকেটে পোস্তর নামে ঘাসের দানা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ। ১০ গ্রাম ওজনের ওই প্যাকেটের দাম মাত্র পাঁচ টাকা। অনেকের অভিযোগ, ওই প্যাকেটে পোস্তর একটিও দানা নেই। রয়েছে কেবল ঘাসের বীজের ভাঙা দানা। আর তাই পোস্ত বলে দেদার বিকোচ্ছে।
বীরভূমের এক পাইকারি খাদ্যশস্য বিক্রেতা তুফান হাজরা বলেন, বীরভূমে এক ধরনের ঘাসের বীজ ও গমের চূর্ণ বিক্রি হয়। যার দাম যথাক্রমে ৩০ ও ৫০ টাকা কিলো। ওই চূর্ণ দানাই পোস্ততে ভেজাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারের পাইকারি মুদি দোকান থেকে সেগুলি দুর্গাপুরের ছোট-বড় সব দোকানে ছড়াচ্ছে। পাখির খাবার হিসেবে ব্যবহৃত ঘাসের বীজ মানুষের খাওয়া কতটা নিরাপদ তার কোনও উল্লেখ ওই প্যাকেটে নেই। বেনাচিতি বাজারের মুদিখানা ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ পাল বলেন, একথা ঠিক, পোস্তর নামে ঘাসের বীজ চূর্ণ করে বিক্রি হচ্ছে। নকল ওই পোস্ত দুর্গাপুর শহর ও গ্রামের দুঃস্থ এলাকায় বেশি চাহিদা রয়েছে। যদিও ওই নকল পোস্তর কারবার আমরা করি না। দুর্গাপুরের বীজুপাড়ার বাসিন্দা দেবব্রত সাহা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পোস্ত বলে মানুষকে যা খুশি খাওয়াচ্ছে। তা খেয়ে মানুষ শারীরিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন। আদৌ তা খাওয়া নিরাপদ কিনা তাও জানা নেই। কারণ, ওই প্যাকেটে একটিও পোস্তর দানা খুঁজে পাওয়া যায় না।
বেনাচিতি বাজারের ওই নকল পোস্তর পাইকারি বিক্রেতা গোলাপ সাউ বলেন, পোস্তর প্যাকেটে কী আছে জানি না! বড় বড় পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাল নিয়ে এসে আমরা বিক্রি করি। এসম্পর্কে দুর্গাপুর মহকুমা শাসক অর্ঘ্য প্রসূন কাজি বলেন, বিষয়টি নিয়ে খোঁজ-খবর করতে এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টে খবর দেওয়া হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি বাজারগুলিতে অভিযান চালানো হবে।