উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অনেক তারকা। আগামীদিনে এরকম যোগদান যে আরও হবে, সেই ইঙ্গিতও আগেই দিয়েছেন বিজেপির নেতারা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে শেষে কতজনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়বে, সেটি এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দু’দফার ভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। এবং সেই তালিকায় তাৎপর্যপূর্ণভাবে ক্রিকেটার অশোক দিন্দা ছাড়া তথাকথিত আর কোনও তারকা প্রার্থীর নাম নেই।
বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পরবর্তী তালিকাতেও কমবেশি একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাই বেশি। সবমিলিয়ে হয়তো গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়া সাত থেকে দশজন তারকাকে প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। এবং তাঁদের ক্ষেত্রেও উল্লিখিত ‘শর্ত’ পূরণ হচ্ছে কি না, তা যাচাই করা হবে।
বিজেপির অন্দরের খবর, গ্রামবাংলার মন জয়ের লক্ষ্যে কিছু তারকা-প্রার্থী দাঁড় করানো হবে। এর আগে দলীয় সূত্রে জানানো হয়েছিল, বিশেষ করে ভবানীপুর কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় চমক থাকবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে দাঁড় না করিয়ে টলি পাড়ার তিনটি অতি পরিচিত নাম নিয়ে জোরদার আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নন্দীগ্রাম থেকেই প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করায় ভবানীপুর নিয়ে ফের বিপাকে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্ট্রারস্ট্রোকে ভবানীপুর বিধানসভা আসন নিয়ে নতুন করে ঘুঁটি সাজাতে হচ্ছে বিজেপিকে।
যোগদান করালেও কেন তারকা-প্রার্থী নিয়ে রীতিমতো দ্বিধাগ্রস্ত বিজেপি? দলের অন্দরের খবর, এমনিতেই আদি এবং নব্যর দ্বন্দ্বে বিজেপিতে নাজেহাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এবার যদি অনেক বেশি সংখ্যায় তারকা প্রার্থী দাঁড় করানো হয়, তাহলে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভ মাত্রাছাড়া হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভোটের মুখে যা দলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে।